সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, ইউক্রেন যুদ্ধে (Russia-Ukraine War) ‘রাশিয়ার পাশে’ থাকার কারণে আসন্ন জি-৭ (G-7 Summit) বৈঠকে ভারতকে আমন্ত্রণ জানাবে না জার্মানি (Germany)। সম্প্রতি দানা বেঁধেছে এমনই গুঞ্জন। অবশেষে সেই গুজব উড়িয়ে দিল জার্মান সরকার। উল্লেখ্য, এবার জি-৭ শীর্ষ বৈঠকের আয়োজক দেশ জার্মানি।
মঙ্গলবার ‘ব্লুমবার্গ’-এর একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, ভারত রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটে অনুপস্থিত থাকার কারণে জার্মানি জি-৭ শীর্ষবৈঠকে ভারতকে আমন্ত্রণ জানাবে না। তবে বুধবার অন্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলি দাবি করেছে, বার্লিন ব্লুমবার্গের ওই প্রতিবেদনকে ‘মিথ্যা’ বলে জানিয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদ থেকে রাশিয়াকে বের করে দিতে ভোটাভুটিতে যে দেশগুলি অনুপস্থিত ছিল, ভারত তাদের মধ্যে অন্যতম। গত বৃহস্পতিবার আমেরিকার নেতৃত্বে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনা হয় রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে। সেই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ৯৩টি দেশ। আমেরিকার আনা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেয় ২৪টি দেশ। ভারত-সহ মোট ৫৮টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।
[আরও পড়ুন: এক ছাদের তলায় সব প্রধানমন্ত্রীর গল্প! দিল্লিতে ‘PM সংগ্রহালয়ে’র উদ্বোধন মোদির, ঢুকলেন টিকিট কেটে]
রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানো সত্ত্বেও ভারত তাদের কাছ থেকে যে অস্ত্র ও তেল কিনছে, সে বিষয়টিকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে পশ্চিমী দেশগুলি। তবে, জার্মান সূত্রগুলি ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অস্বীকার করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী মোদিকে সম্মেলনে আমন্ত্রণ না জানানোর দাবিও ‘ভিত্তিহীন’ বলে জানিয়েছে। উল্লেখ্য, আগামী জুনে জার্মানির মিউনিখের বাভারিয়ায় জি-৭ বৈঠক হওয়ার কথা। জার্মানি চাইছে সেনেগাল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইন্দোনেশিয়াকে বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানাতে।
এদিকে ইউক্রেন ও পোল্যান্ডের কাছে সমালোচিত হতে হয়েছে জার্মানিকেও। এখনও প্রাকৃতিক শক্তির বিষয়ে রাশিয়ার উপরে নির্ভরশীল জার্মানি। এবিষয়ে অবশ্য বার্লিনের যুক্তি, ইতিমধ্যেই এবিষয়ে রাশিয়া-নির্ভরতা কমাতে উদ্যোগী হয়েছে তারা। কিন্তু দেশের কলকারখানা চালাতে এখনও প্রাকৃতিক গ্যাসের উপরই নির্ভর করতে হচ্ছে তাদের।