সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) আদেশ শিরোধার্য। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান (Ghatal Master Plan) নিয়ে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতে দিল্লি উড়ে গেলেন রাজ্যের সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রীদের প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার দুপুর এবং বিকেলে দফায় দফায় বৈঠক রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, নীতি আয়োগের সঙ্গে। সূত্রের খবর, এদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, মানস ভুঁইঞারা। তারপর বিকেল ৪টে নাগাদ ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে নীতি আয়োগের (NITI Ayog) সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। আপাতত এই সূচিই চূড়ান্ত। দুই বৈঠকে যোগ দিতে সোমবার রাতেই দিল্লি উড়ে গিয়েছে ৮ জনের প্রতিনিধি দল।
চলতি মাসের প্রথম দিকে অতিবৃষ্টির জেরে ঘাটাল ও সংলগ্ন এলাকা প্লাবিত (Flood) হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে পড়ে যে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই তা দেখতে ছুটে যান। জলে নেমে পা ডুবিয়ে তা দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। এই ভয়াবহ অবস্থার জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করেছেন মমতা (Mamata Banerjee)। একে ‘ম্যান মেড’ বন্যা হিসেবেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা সত্ত্বেও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত হচ্ছে না কেন? প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফের সরব হন। এ প্রসঙ্গে দলের সাংসদদের নির্দেশ দেন, দিল্লি গিয়ে যেন কেন্দ্রকে এ বিষয়ে চাপ দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরুতে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা, মৃত ডিএমকে বিধায়কের পুত্র, পুত্রবধূ-সহ ৭]
সেই নির্দেশ মেনেই কার্যত দিল্লি গেলেন রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস ভুঁইঞা, সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত হলে যেহেতু দুই মেদিনীপুরেই বন্যার অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে পারবে, তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দুই জেলার সাংসদ, বিধায়করাও গিয়েছেন। সূত্রের খবর, ৮ জনের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ঘাটালের সাংসদ-অভিনেতা দেব, মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া। রয়েছেন পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা, বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো, অজিত মাইতিও। তাঁরা সকলেই কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী এবং নীতি আয়োগের সঙ্গে বৈঠকে হাজির থাকবেন বলে খবর।
[আরও পড়ুন: মথুরায় মদ এবং মাংস বিক্রি বন্ধের নির্দেশ, বড় সিদ্ধান্ত যোগী প্রশাসনের]
বন্যা রুখতে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ উদ্যোগের একটি প্রকল্প। যেখানে ৭৫ শতাংশ অর্থ দেওয়ার কথা কেন্দ্রের, ২৫ শতাংশ টাকা দেবে রাজ্য। পরবর্তী সময়ে সেই প্রকল্পে ৫০-৫০ শতাংশ অর্থ কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে ভাগাভাগি হয়। কিন্তু রাজ্যের অভিযোগ, কেন্দ্রের বরাদ্দ টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে কাজও এগনো যাচ্ছে না। এ বিষয়ে কথা বলতেই আজ দিল্লিতে একাধিক বৈঠক করবেন রাজ্যের মন্ত্রী, বিধায়করা।