সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুরুষ বন্ধুকে দিয়ে নিজের ১০ বছরের নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণ করাত মা! এমনকী মায়ের এমন বিকৃত মানসিকতা থেকে রেহাই পেত না নাবালক ছেলেও। দিনের পর দিন মায়ের অত্যাচারের পর অবশেষে বাড়ি থেকে পালিয়ে রক্ষা পেল মেয়ে। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত মা ও তাঁর পুরুষ বন্ধুকে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মায়ের অত্যচার সহ্য করতে না পেরে গত ২০ জানুয়ারি গাজিয়াবাদের বাড়ি থেকে পালায় ১০ বছর বয়সী ওই নাবালিকা। দিল্লির রাস্তায় তাকে উদ্দেশ্যবিহীনভাবে ঘুরতে দেখে পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা। এরপর সেখান থেকে তাকে শিশু সুরক্ষা কেন্দ্রে পাঠানো হয়। মেডিক্যাল টেস্টে জানা যায়, মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এরপরই দোষীদের ধরতে কোমর বেঁধে নামে দিল্লি পুলিশ।
[আরও পড়ুন: হরিয়ানায় স্কুলবাস দুর্ঘটনায় গ্রেপ্তার প্রিন্সিপাল-সহ ৩, ইদের দিনে ছুটি নেই কেন, উঠছে প্রশ্ন]
তদন্তকারীদের কাছে মেয়েটি জানায়, চার বছর আগে তাঁর বাবা মারা গেছে। এরপর থেকে দাদু দিদার সঙ্গে বসবাস করত তারা। গত বছর সেখান থেকে তাকে ও তার ১৩ বছর বয়সী দাদাকে নিয়ে গাজিয়াবাদে চলে আসে মা। সেখানে আসার পর থেকেই মায়ের বন্ধুর দ্বারা লাগাতার ধর্ষনের শিকার হয় সে। এমনকী তার দাদাকেও যৌন নির্যাতন করা হয়। যার জেরে দাদাও বাড়ি থেকে পালিয়েছে। পুলিশের কাছে নাবালিকার দাবি, বাবার মৃত্যুর পর তার মা যৌন পেশার সঙ্গে যুক্ত হয়। এবং মেয়েটি জানতে পারে, বড় হলে তাকেও ওই পেশায় ঢুকিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল মায়ের।
[আরও পড়ুন: এবার চাকরি গেল কেজরির ব্যক্তিগত সচিবের, উপরাজ্যপাল সাক্সেনার হাত দেখছে আপ!]
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে মেয়েটির মা ও তাঁর বন্ধুকে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রাজু। পুলিশের দাবি ২০ জানুয়ারি মেয়েটি নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে মেয়েটির নামে কোনও নিখোঁজ ডায়েরি করেনি তার মা। এমনকী এই ধর্ষণের কথা কাউকে জানালে তাকে খুনের হুমকি ও দেওয়া হয়। যার জেরে মেয়েটি এতটাই ভয় পেয়ে ছিল যে প্রথমে ধর্ষণের কথা পুলিশকে বলতেই চায়নি সে।