সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেশ কিছুদিন ধরেই দলের কার্যকলাপে ক্ষুব্ধ কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা গুলাম নবি আজাদ (Ghulam Nabi Azad)। দলের কাজে তিতিবিরক্ত হয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি। জম্মু-কাশ্মীরের (Kashmir ) ভোট প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে তাঁকে নিযুক্ত করার মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স কমিটি থেকেও সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, নতুন পদে তাঁকে নিয়োগ করায় যথেষ্ট অসম্মানিত বোধ করেছেন আজাদ। সেই কারণেই দলীয় কার্যকলাপ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা।
জানা গিয়েছে, অনেকদিন ধরেই কংগ্রেসের (Congress) সর্বভারতীয় পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স কমিটিতে রয়েছেন গুলাম নবি আজাদ। নতুন করে তাঁকে শুধুমাত্র জম্মু-কাশ্মীরের ভোট প্রচারের দায়িত্ব দেওয়ার ফলে তাঁর কাজের পরিধি কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করেছেন তিনি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে তাঁকে নিযুক্ত করা হবে, এমনই আশা করেছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আজাদ। কিন্তু তার বদলে শুধুমাত্র ভোট প্রচার কমিটির প্রধানের পদ দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: তালাক-এ-হাসান ‘বেঠিক’ নয়, মত সুপ্রিম কোর্টের]
কিছুদিন আগেই আজাদের ঘনিষ্ঠ গুলাম আহমেদ মীরকে জম্মু-কাশ্মীরের প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। অপমানে পদত্যাগ করেন তিনি। অবস্থা সামাল দিতে রসুল ওয়ানিকে ওই পদে নিয়োগ করা হয়। সব মিলিয়ে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বারবার সংঘাতে জড়িয়ে যাচ্ছেন প্রবীণ নেতা আজাদ। প্রসঙ্গত, বছর দুয়েক আগে সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) চিঠি দিয়েছিলেন কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতারা। তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন আজাদ। সঠিকভাবে দল পরিচালনা করা হোক, এই আরজি জানিয়েছিলেন তাঁরা।
চলতি বছরের শেষের দিকেই কাশ্মীরে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই নতুন করে কংগ্রেসের সমস্ত কমিটি ঢেলে সাজিয়েছেন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। ফলে আশা করা হয়েছিল, অতীতের বিদ্রোহ ভুলে গিয়ে প্রবীণ নেতারা কাজ করবেন। কিন্তু দায়িত্ব দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা ফিরিয়ে দিলেন আজাদ। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে, এর ফলে কাশ্মীরে কংগ্রেসের সংগঠন বেশ ধাক্কা খাবে।