দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: একটা দুর্ঘটনা। আর তাতে বাবা এবং মাকে হারায় বছর বারোর নাবালিকা। তারপর থেকে তার রক্ষাকারী দাদা ও দাদু। কিন্তু রক্ষকই যেন ভক্ষকের রূপ নিল। দিনের পর দিন বাড়িতেই দাদা ও দাদুর যৌন নির্যাতনের শিকার ওই নাবালিকা। নরেন্দ্রপুর থানার কন্দর্পপুরের ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা। পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে। নরেন্দ্রপুর (Narendrapur) থানার পুলিশ অভিযুক্ত দাদা ও দাদুকে গ্রেপ্তার করেছে। নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। ধৃতদের শনিবারই বারুইপুর আদালতে তোলা হবে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর দুয়েক আগে দুর্ঘটনায় বাবা ও মাকে হারায় নির্যাতিতা৷ তারপর থেকে দাদু ও দাদার কাছেই থাকছিল সে৷ অভিযোগ, দিনের পর দিন দু’জনে মিলে তাকে যৌন নির্যাতন করে। বারবার যৌন নির্যাতনের ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে নাবালিকা। ভয়ে সারাদিনই কাঁটা হয়ে থাকত সে। প্রতিবেশীরা বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসা করেছে তাকে। তবে সে বিষয়ে কোনও কথা বলত না নাবালিকা।
[আরও পড়ুন: কসবা ভুয়ো টিকা কাণ্ড নিয়ে রাজ্য সরকারকে খোঁচা দিলীপ-সৌমিত্রর, পথে নামবে BJP’র শ্রমিক সংগঠন]
দিনকয়েক আগে শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে প্রতিবেশীদের কাছে বিষয়টি জানায় নাবালিকা৷ তারাই নরেন্দ্রপুর থানার দারস্থ হন৷ পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়৷ পুলিশও অভিযোগ পাওয়ামাত্রই তৎপর হয়ে ওঠে। নাবালিকাকে নির্যাতনের ঘটনায় তড়িঘড়ি অভিযুক্ত দাদা ও দাদুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে৷ নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষায় যৌন নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।