অর্ণব দাস, বারাকপুর: বিষ খাইয়ে মাকে ‘খুনে’র অভিযোগ উঠল মেয়ের বিরুদ্ধে। মেয়ে নিজেও বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। আপাতত আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাঁচরাপাড়া এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
শনিবার দশটা নাগাদ কাঁচরাপাড়া ২১ নম্বর ওয়ার্ড ডাঙ্গাপাড়া নিপেন সরকার এলাকায় বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন মা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি মেয়ে। মৃতের নাম রাধারানী দেবীপ্রসাদ। বয়স ৭০ বছর। অভিযুক্ত মেয়ের নাম ববিতা প্রসাদ (৪৮)। এদিন সকালে অনেকবার ডাকাডাকির পরও দরজা খুলছিলেন না মা-মেয়ে। দরজা ভেঙে ঢুকে দেখেন দুজন মাটিতে পড়ে রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে দুজনকে উদ্ধার করে কল্যাণী জিএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা রাধারাণীদেবীকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মেয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
[আরও পড়ুন: চিকিৎসার ‘গাফিলতি’, সদ্যোজাতর মৃত্যুতে নার্সিংহোম ভাঙচুর পরিবারের]
স্থানীয় এবং পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃদ্ধার মায়ের সঙ্গেই থাকতেন ববিতা। ভাইয়েরা থাকতেন পাশে। গত কয়েকদিন ধরেই দুজনের মধ্যে অশান্তি চলছিল। তবে গতকাল তথা শুক্রবার কোনও অশান্তি-ঝঞ্ঝাটের শব্দ শোনা যায়নি। মা-মেয়ে কি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন নাকি মাকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মেয়ে, তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে।
প্রতিবেশী নিলাম সিং বলেন, “গত দু-তিনদিন ধরে কোনও একটা বিষয় নিয়ে মায়ের সঙ্গে ঝামেলা চলছিল ববিতার। মাকে মারধরও করত বলে শুনেছি। কাউকে ঘরেও ঢুকতে দিতেন না। সম্ভবত বিষ জাতীয় কিছু খাইয়ে মাকে মারার পর নিজে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করেছে মেয়ে।” মৃতার বউমা রাজমনীদেবী বলেন, “আমাদের আলাদা করে দিয়েছিল। তারপর থেকে পাশে থাকতাম। তবে শুক্রবার তেমন কিছু হয়নি। কেন এই রকম করল বুঝতে পারছি না।” ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে বীজপুর থানার পুলিশ। মেয়ের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলে জিজ্ঞাসাবাদের পরই গোটা ঘটনা পরিষ্কার হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ‘মধ্যরাত পর্যন্ত দেখুন কী করি’, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যকে হুঁশিয়ারি রাজ্যপালের]