সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রা খুলে মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষা (National Eligibility Entrance Test) দিতে বাধ্য করা হল এক ছাত্রীকে। কেরলের (Kerala) একটি পরীক্ষা কেন্দ্রের এই ঘটনায় তুঙ্গে উঠল বিতর্ক। পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের সময় নিরাপত্তারক্ষীরা অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করে বলে অভিযোগ। ওই ছাত্রীর বাবা পুলিশে এই বিষয়ে অভিযোগ করার পরে গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
রাজ্যের কোল্লাম (Kollam) জেলার একটি পরীক্ষাকেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। ওই ছাত্রী জানিয়েছেন, পরীক্ষাকেন্দ্রের মহিলা নিরাপত্তারক্ষী তাঁকে ব্রা খুলতে বলেন। যেহেতু ব্রা-য়ে ধাতুর হুক রয়েছে। ছাত্রী এই বিষয়ে আপত্তি করলে জানিয়ে দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে তিনি প্রবেশিকা দিতে পারবেন না। ওই ছাত্রী আরও জানান, মহিলা নিরাপত্তারক্ষী রীতিমতো জ্ঞানের বচন শোনান। প্রশ্ন করেন, “কোনটা জরুরি, ভবিষ্যত না অন্তর্বাস?” পুলিশে দায়ের করা অভিযোগপত্রে গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন ছাত্রীর বাবা।
[আরও পড়ুন: ভগৎ সিং ‘জঙ্গি’, মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের ঝড় উঠলেও অবস্থানে অনড় অকালি সাংসদ]
যদিও যেখানে ঘটনাটি ঘটে, সেই মারথোমা ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে কোল্লাম পুলিশ নিশ্চিত করেছে, এক ছাত্রী এই বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। এমনকী আরও জানানো হয়, শুধু ওই ছাত্রীই নয়, ওই পরীক্ষাকেন্দ্রের বহু ছাত্রীকেই অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করা হয়। তা শিক্ষাকেন্দ্রের স্টোর রুমে স্তূপ করে রাখা হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: ভুয়ো লোন অ্যাপের নামে আর্থিক প্রতারণা, ৩ চিনা জালিয়াতের বিরুদ্ধে জারি লুক আউট নোটিস]
ছাত্রীর অভিযোগ, মারথোমা ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজিতে পরীক্ষা দিতে আসা ৯০ শতাংশ ছাত্রীকে অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করে সেখানকার নিরাপত্তারক্ষীরা। কিছু ছাত্রী ধাতুর হুক খুলে ব্রা পরার চেষ্টা করেন। এই ঘটনায় অনেকেই মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বহু ছাত্রীকে কাঁদতে দেখা যায়। অভিযোগকারিণী ছাত্রীর বাবা বলেন, গোটা ঘটনায় ভাল করে পরীক্ষা দিতে পারেননি ছাত্রীরা।
উল্লেখ্য, মেডিক্যালের প্রবেশিকায় পরীক্ষার্থীদের জন্য একাধিক বিষয় ছিল কঠোর বিধিনিষেধ। ছিল নির্দিষ্ট পোশাক বিধি। এছাড়াও পরীক্ষা কেন্দ্রে মানিব্যাগ, হাতব্যাগ, বেল্ট, টুপি, গয়না, হাই হিল জুতো নিষিদ্ধ করা হয়। যদিও কোল্লামের পরীক্ষাকেন্দ্রটি যা করেছে তা বাড়াবাড়ি বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।