সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৩টি অধ্যায় আগেই ছেঁটে ফেলা হয়েছিল। এবার আরও সংক্ষিপ্ত হচ্ছে ব্রিগেডের গীতাপাঠের অনুষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সংক্ষিপ্ত সফরসূচির কারণে আরও কাটছাঁট করা হচ্ছে ব্রিগেডের গীতাপাঠ কর্মসূচিতে। শোনা যাচ্ছে গীতার আরও এক অধ্যায় কাটছাঁট করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন আয়োজকরা।
আগামী রবিবার কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে হবে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ কর্মসূচি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী নিজে গীতার একটি অধ্যায় পাঠ করবেন বলে জানিয়েছেন। তবে গীতার ওই অধ্যায় পাঠের পর বক্তৃতা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরই তিনি প্রস্থান করবেন। সেখানেই প্রমাদ গুণছেন আয়োজকরা। তাঁদের ধারণা মোদি সভাস্থল ছাড়লে আর লোক ধরে রাখা যাবে না।তাই এখন থেকেই কর্মসূচিতে কাটছাঁটের ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘স্বামী নির্যাতন করলেও সেটা ধর্ষণ’, পর্যবেক্ষণ গুজরাট হাই কোর্টের]
প্রাথমিকভাবে ঠিক ছিল ব্রিগেড (Brigade) ময়দানে গীতার প্রথম, দ্বিতীয়, দ্বাদশ, পঞ্চদশ এবং অষ্টাদশ অধ্যায় সমবেত কণ্ঠে পাঠ করা হবে। ঠিক ছিল গীতার মোট ২৩৭টি শ্লোক সমবেত কণ্ঠে পাঠ করা হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৭৮টি শ্লোক পাঠ না-ও করা হতে পারে। বাদ দেওয়া হতে পারে আরও এক অধ্যায়। অষ্টাদশ অধ্যায় বাদ যেতে পারে শেষ পর্যন্ত। অর্থাৎ পাঠ হবে ১৫৯টি শ্লোক। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে মোদীর সফরের যে সূচি পাওয়া গিয়েছে তাতেই কর্মসূচিতে বদল আনতে হতে পারে।
[আরও পড়ুন: মোদি-মমতার বৈঠকের দিন বিধায়কদের নিয়ে শুভেন্দুর কর্মসূচিতে ‘নারাজ’ সুকান্ত! প্রকাশ্যে অন্তর্কলহ]
জানা গিয়েছে ওই গীতাপাঠের অনুষ্ঠান শুরু হবে কাজি নজরুলের লেখা ‘হো পার্থসারথী’ গান দিয়ে। বাজবে পঞ্চাশ হাজার শঙ্খও। আর এই আসরে তৈরি হওয়া আবেগকে পুঁজি করে রাজ্যে হিন্দুত্বের ঝোড়ো হাওয়া তুলতে প্রাচীন মঠ ও মন্দিরের পুনর্জাগরণে গ্রামে গ্রামে ঘুরবেন গৈরিক বসন পরিধারী সাধু-সন্তের দল।