সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ের বিধানসভা নির্বাচনে কার্যত নিশ্চিহ্ন কংগ্রেস। বিজেপির (BJP) প্রবল পরাক্রমের সামনে খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছে রাহুল গান্ধী- মল্লিকার্জুন খাড়গেদের স্ট্র্যাটেজি। শুধু তেলেঙ্গানা জিতে কোনওরকম মান বেঁচেছে হাত শিবিরের। অন্তত বাইরে থেকে ফলাফল দেখে তাই মনে হচ্ছে। কিন্তু কংগ্রেস বলছে, বাস্তবটা অন্য। চার রাজ্যের মধ্যে ৩ রাজ্যে দল হেরেছে বটে কিন্তু হারিয়ে যায়নি।
কংগ্রেসের যুক্তি, ৩ রাজ্যে হারলেও কোথাও লড়াই থেকে হারিয়ে যায়নি। তার প্রথম কারণ, কোনও রাজ্যেই কংগ্রেসের ভোট সেভাবে কমেনি। তাছাড়া, মধ্যপ্রদেশ ছাড়া হিন্দি বলয়ের বাকি দুই রাজ্যে বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে ভোটের ফারাক তেমন নেই। উলটে তেলেঙ্গানায় (Telangana) কংগ্রেস যেখানে ভোট বাড়িয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। তাছাড়া সব মিলিয়ে চার রাজ্যের হিসাবে করলে বিজেপির থেকে ভোট বেশিই পেয়েছে কংগ্রেস। চার রাজ্য মিলিয়ে বিজেপি পেয়েছে, চার কোটি ৮১ লাখ ৩৩ হাজার ৪৬২ ভোট। সেখানে কংগ্রেস পেয়েছে চার কোটি ৯০ লাখ ৭৭ হাজার ৯০৭ ভোট।
[আরও পড়ুন: প্রেমের টান! পরীক্ষা দেওয়ার নামে বাড়ি থেকে বেরিয়ে উধাও তিন ছাত্রী, তার পর…]
এতো গেল সংখ্যাতত্ত্বের হিসাবে। এই বিধানসভার ফলাফলের নিরিখে লোকসভার হিসাব কষলেও ফায়দা আখেরে কংগ্রেসেরই (Congress)। তথ্য বলছে, বিধানসভার এই ফলাফল লোকসভায় বদলে গেলে বিজেপির আসন কমে যাবে প্রায় ১৯টি। আপাতত কংগ্রেসের আসন শুধু এই চার রাজ্যে বাড়বে ২২টি। এখন এই চার রাজ্যে লোকসভার ৮২টি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের হাতে আছে মাত্র ছয়টি। সেখানে বিজেপি পায় ৬৫ আসন। বিধানসভার ফলের নিরিখে হিসাব করলে চার রাজ্যে বিজেপির লোকসভা আসন কমে দাঁড়াবে ৪৬। আর কংগ্রেসের বেড়ে দাঁড়াবে ২৮। অর্থাৎ অনেকটাই সুবিধা কংগ্রেসের।
[আরও পড়ুন: ঠিক করুন বামেদের বিরুদ্ধে লড়বেন নাকি বিজেপির বিরুদ্ধে! রাহুলকে চ্যালেঞ্জ বিজয়নের]
কিন্তু ভারতীয় গণতন্ত্রে নির্বাচন পাটিগণিত মেনে হয় না। লোকসভা এবং বিধানসভার ভোটও এক বিষয় নয়। মানুষ বিধানসভায় ভোট দেয় রাজ্য নেতৃত্ব দেখে। আর লোকসভায় ভোট দেয় দেশ কে চালাবেন তাঁকে নির্বাচিত করার জন্য। সেক্ষেত্রে অবশ্যই ‘ব্র্যান্ড মোদি’ অ্যাডভান্টেজ দেবে বিজেপিকে।