সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিস্থিতি ভয়াবহ। বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে সংকটে বিশ্বের সমস্ত হিমবাহ। হিমালয়ের হিমবাহগুলির অবস্থাও তথৈবচ। পরিবেশবিদরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে ভেসে যেতে পারে হিমালয়ের প্রায় পাঁচটি হ্রদ ও বরফের জলে পুষ্ট নদীগুলি। আর তার ফলে প্লাবিত হতে পারে সংলগ্ন সমস্ত এলাকা।
‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর অ্যান্টার্কটিক অ্যান্ড ওশ্ন রিসার্চ’-এর অধিকর্তা মুথালাগু রবিচন্দ্রন সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই প্লাবন হতে সম্ভবত আর বেশি দেরি নেই। উষ্ণায়নে রাশ না টানলে এই দশকেই ভেসে যেতে পারে হিমালয়ের পাদদেশের জনপদগুলি। একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, পূর্ব হিমালয়ে এই প্লাবনের আশঙ্কা তিন গুণ। সিকিম-সহ দেশের পূর্বদিকের প্রতিটি রাজ্যই এই ভয়াবহ প্লাবনের মুখোমুখি হতে পারে।
[ আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় গুলি করে মারা হবে ১০ হাজার উটকে, কেন জানেন? ]
পরিবেশবিদরা জানাচ্ছেন, দূষণের ফলে ক্রমশ বাড়ছে বিশ্ব উষ্ণায়ন। তার ফলে গলে যাচ্ছে হিমালয়ের হিমবাহগুলি। সেই বরফগলা জলে পুষ্ট হচ্ছে নদী। কিন্তু এভাবে হিমবাহ গলতে থাকলে নদীগুলি টইটম্বুর হয়ে যাবে। এমনকী উপচে যেতেও বেশি সময় লাগবে না। তখন নদী অবহাবিকাগুলিতে প্লাবন হবে। এর মধ্যে আবার রয়েছে হিমালয়ের হ্রদগুলি। এর মধ্যে মানস সরোবর, ছাংগু লেক-সহ পাঁচটি বড় হ্রদ ভেসে যেতে পারে। শুধু আকার বা আয়তনে নয়। এই হ্রদগুলির গভীরতাও অনেক। ফলে এগুলি ভেসে গেলে জল ভাসাবে হিমালয়ের পাদদেশের জনপদ। এছড়া ছোট হ্রদ তো রয়েইছে।
গবেষণায় এমনও জানা গিয়েছে, হিমালয়ে যত হিমবাহ রয়েছে, তার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ গলে যাবে এই দশকে। হিমবাহ গলে সিকিমেই ২০০৩ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে প্রায় ছোটখাট ৮০-৮৫টি হ্রদ রয়েছে। ভূতত্ত্ববিদ্যার ভাষায় এই ধরনের প্লাবনকে বলা হয়, গ্লেসিয়াল লেক আউটবার্স্ট ফ্লাড বা জিএলওএফ বা গ্লফ। এমন ঘটনা গত দু’দশকে একাধিকবার ঘটেছে। কিন্তু এবারের ভয়াবহতা হবে অনেক বেশি। এর জন্য পূর্ব হিমালয় সংলগ্ন অঞ্চলগুলিকে সতর্ক করেছেন পরিবেশবিদরা।
[ আরও পড়ুন: ‘পরিবেশকে বাঁচান’, সিন্ধুতে ঝাঁপ দিয়ে বার্তা দিলেন লাদাখের ‘রণছোড়দাস চাঞ্চড়’ ]
The post হিমবাহ গলে ভয়ানক প্লাবন এই দশকেই, ‘ডেঞ্জার জোন’-এ কলকাতাও! appeared first on Sangbad Pratidin.