সুমন করাতি, হুগলি: পেশায় ক্যানসার বিশেষজ্ঞ। নেশা বিশ্ব ভ্রমণ। ইতিমধ্যে ৯৩ দেশে ঘুরে ফেলেছেন তিনি। তবে শুধুমাত্র ঘুরে বেড়ানো নয়, সমস্ত দেশ থেকে সেখানকার পুতুল এবং ব্যাঙ্কনোট সংগ্রহ করেন তিনি। অভিনব এই নেশায় মজে কোন্নগরের নবগ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয়কুমার দাস।
কলকাতার মারওয়ারি হাসপাতালের সঙ্গে গত তিন দশক ধরে যুক্ত ক্যানসার বিশেষজ্ঞ সঞ্জয়কুমার। রোগীদের চিকিৎসার পর যেটুকু সময় পান সেই সময় দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়ান তিনি। বিশ্বের ৯৩টি দেশ ইতিমধ্যেই ভ্রমণ করে ফেলেছেন। শুধু দেশে গিয়ে ঘুরে বেড়ানো তাঁর উদ্দেশ্য নয়। তিনি যে সেই দেশে গিয়েছেন তাঁর নিদর্শন সংগ্রহ করাটাও তার উদ্দেশ্য। বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের ছ’টি ইতিমধ্যেই দেখে ফেলেছেন। প্রাকৃতির আশ্চর্যও দেখেছেন। আর সংগ্রহে রয়েছে সেই দেশের পুতুল।
[আরও পড়ুন: স্পেন যেতে চেয়ে কুণাল ঘোষের আবেদন, ‘আপত্তি কোথায়?’, সিবিআই-কে প্রশ্ন হাই কোর্টের]
সঞ্জয়বাবুর মতে,পুতুলের মধ্যে সেই দেশের পোশাক, সংস্কৃতি সহ বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ফুটে ওঠে। দেশ-বিদেশের পুতুল সংগ্রহ করে এনে নিজের ড্রয়িং রুমে সংগ্রহশালা তৈরি করে ফেলেছেন। এখানেই শেষ নয়, যে দেশে গিয়েছেন সেখানকার মুদ্রা তাঁর সংগ্রহে রয়েছে। মুদ্রা বা টাকার মধ্যেও দেশের সংস্কৃতি এবং বিশেষ দ্রষ্টব্য স্থান ফুটে ওঠে। তাই ভারতীয় টাকার পাশাপাশি তাঁর সংগ্রহে রয়েছে বিভিন্ন দেশের নোট বা টাকা।
বিশ্ব ভ্রমণের ব্যাপারে অনেকটাই উৎসাহ প্রদান করেন তাঁর রোগীরা। বিভিন্ন দেশে গিয়ে ক্যানসার সম্বন্ধে সেখানকার চিকিৎসকদের থেকে জ্ঞান সংগ্রহ করেন তিনি। আরও ভালও করে কীভাবে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যায় তাও সেই দেশ থেকে শিখে আসেন তিনি। নিজের সামাজিক মাধ্যমে বেড়াতে যাওয়ার অভিজ্ঞতাও ছবি-সহ তুলে ধরেন এই ক্যানসার বিশেষজ্ঞ। আগামী দিনে তাঁর ইচ্ছে বিশ্বের বাকি দেশগুলোও ঘুরে ফেলা। আর সেখানকার পুতুল এবং টাকা নিজের ড্রয়িংরুমে স্মৃতি হিসাবে সাজিয়ে রাখা।