সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কংগ্রেস (Goa Congress) ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে চাইছেন বিধায়করা।সেই খবর পেয়ে বিরোধী দলনেতার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের মাইকেল লোবোকে। শোনা যাচ্ছে, তিনিও যেতে পারেন বিজেপিতে। সব মিলিয়ে গোয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোটেও শান্ত নয়। দল ছাড়তে পারেন যাঁরা, সেই বিধায়কদের বহিষ্কার করার অনুরোধ জানিয়ে বিধানসভার স্পিকারের কাছে চিঠি দিল কংগ্রেস। ওই বিধায়করা দলত্যাগ বিরোধী আইন ভঙ্গ করেছেন, এই কারণে তাঁদের বহিষ্কার করার দাবি করেছে কংগ্রেস।
৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় কংগ্রেসের ১১ জন বিধায়ক রয়েছেন। রবিবার জানা যায়, দল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দিতে পারেন অন্তত ছয় বিধায়ক। দলবদল হতে পারে, এই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে রবিবার বিশেষ বৈঠক ডাকা হয় কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে। কিন্তু সেখানে উপস্থিত ছিলেন না ওই ছয় বিধায়ক। তার ফলে দলবদলের সম্ভাবনা আরও জোরদার হয়। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য তড়িঘড়ি মুকুল ওয়াসনিককে দায়িত্ব দেন সোনিয়া গান্ধী। সোমবার ফের কংগ্রেস বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক হতে পারে বলেই জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: অগ্নিপথ নিয়ে দিল্লিতে সরব তৃণমূল, প্রতিরক্ষা বিষয়ক সংসদীয় কমিটির বৈঠকে প্রকল্প বাতিলের দাবি]
সূত্রের খবর, বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা (Goa Opposition Leader) হতে চেয়েছিলেন দিগম্বর কামাত। কিন্তু সেই ইচ্ছা পূরণ হয়নি। তার বদলে মাইকেল লোবোকে বিরোধী দলনেতার পদে বসানো হয়। অন্যদিকে নির্বাচনের আগে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন লোবো। বর্তমানে তিনি ও তাঁর স্ত্রী ডেলাইলা লোবো দু’ জনেই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। সেই খবর পেয়ে বিরোধী দলনেতার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় মাইকেল লোবোকে। তবে তিনি দলবদলের কথা অস্বীকার করেছেন। লোবো বলেছেন, “আমার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি। দল বদলানোর কথা চিন্তাও করছি না।”
দলবদলের অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলেছেন কামাতও। কংগ্রেস নেতৃত্বের এহেন অভিযোগ শুনে হতবাক হয়ে গিয়েছেন বলে দাবি কামাতের। বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছেন, সেই কথা উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।গোয়া কংগ্রেসের প্রধান দীনেশ গুন্ডু রাও জানিয়েছেন, “দিগম্বর কামাতের বিরুদ্ধে প্রচুর মামলা রয়েছে। শাস্তি এড়ানোর জন্যই তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে চাইছেন। আর মাইকেল লোবো ক্ষমতার লোভে আবার বিজেপিতে যেতে চাইছেন। আসলে বিরোধীদের শেষ করে দিতে চায় বিজেপি।”
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, যদি একসঙ্গে আটজন বিধায়ক দল পালটান, তাহলে দলবদল আইন কার্যকরী হবে না। সেই কথা মাথায় রেখেই এগোচ্ছে বিজেপি। তবে বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, কংগ্রেস বিধায়কদের সমস্যার সঙ্গে দল কোনওভাবেই জড়িত নয়।