সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের আগে জোট হয়নি কংগ্রেসের (Congress) অনিচ্ছার জন্যই। সেই কংগ্রেসই ভোটের পর তৃণমূলের জন্য নিজেদের দরজা হাট করে খুলে দিল। বিভিন্ন বুথ ফেরত সমীক্ষায় গোয়ায় ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হওয়ার ইঙ্গিত মিলতেই তৃণমূল বা আম আদমি পার্টিকে নিজেদের শিবিরে টানার বার্তা দেওয়া শুরু করল হাত শিবির। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা বলে দিলেন, বিজেপি বিরোধী যে কোনও দলকে সঙ্গে নিয়েই তারা চলতে রাজি।
বস্তুত, বিভিন্ন বুথ ফেরত সমীক্ষায় গোয়ায় (Goa Exit Polls) ফের ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। কংগ্রেস বা বিজেপি (BJP) কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না বলেই ইঙ্গিত এই সমীক্ষাগুলির। সেক্ষেত্রে গোয়ায় (Goa) মাত্র ৩ মাস আগে পা রাখা তৃণমূল কংগ্রেসই হয়ে যেতে পারে কিংমেকার। কোনও কোনও সমীক্ষায় তৃণমূল জোটকে ৯টি পর্যন্ত আসন দেওয়া হয়েছে। এমনকী, দীর্ঘদিন ধরে গোয়ায় কাজ করা আম আদমি পার্টির থেকেও বেশি আসন পেতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)।
[আরও পড়ুন: ‘নির্দলদের ইন্ধন দিলে নাম কেটে দেব’, দলের একাংশকে হুঁশিয়ারি মমতার]
স্বাভাবিকভাবেই সম্ভাব্য কিংমেকারকে নিজেদের শিবিরে ভেড়াতে আগেভাগে আসরে নেমে পড়ল কংগ্রেস। গোয়া প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি গিরিশ চডঙ্কর এক্সিট পোলের ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পরই দাবি করেছেন,”আমরা গোয়ায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। তবু, বিজেপি বিরোধী অন্যান্য দলের সঙ্গে আমরা ব্যাক চ্যানেলে কথাবার্তা বলা শুরু করেছি।” শুধু গিরিশ নন, গোয়ায় কংগ্রেসের সহ-পর্যবেক্ষক দীনেশ গুণ্ডুরাও-ও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “বিজেপি বিরোধী সব দলের সঙ্গেই আমরা কথা বলতে রাজি। একসঙ্গে পথ চলতেও আপত্তি নেই। আমি এখনই কোনও নির্দিষ্ট দলের নাম বলছি না। যে কোনও দল, যারা বিজেপির বিরোধিতা করছে, আমরা তাদের সঙ্গে নিয়ে চলতে চাই।”
[আরও পড়ুন: ‘মেয়েরাই বিধানসভা ও গণতন্ত্রের সম্মান রক্ষা করেছে’, তৃণমূলের মহিলা ব্রিগেডের প্রশংসায় মমতা]
দীনেশের এই মন্তব্য ঘুরিয়ে তৃণমূল এবং আম আদমি পার্টির (Aam Admi Party) উদ্দেশে জোটবার্তা বলেই মনে করা হচ্ছে। আসলে ২০১৭ সালের মতো ভুল করতে রাজি নয় কংগ্রেস। এবারে তারা আগেভাগে পদক্ষেপ করছে। ইতিমধ্যেই গোয়ায় উড়ে গিয়েছেন পি চিদম্বরমের মতো কেন্দ্রীয় নেতারা। দলের প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এমনকী, সব প্রার্থীকে ফলপ্রকাশের আগে থেকে হোটেলে রাখারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। কংগ্রেসে মতো তৎপরতা শুরু করেছে তৃণমূলও। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) শীঘ্রই গোয়া উড়ে যাচ্ছেন। গোয়া নিয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত তিনিই নেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।