সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোয়ার পঞ্চায়েত নির্বাচনে বড়সড় সাফল্য বিজেপির (BJP)। রাজ্যের অধিকাংশ আসনে জয় পেল গেরুয়া শিবির। তবে সুখবর রয়েছে তৃণমূলের জন্য। পঞ্চায়েত নির্বাচনে খাতা খুলেছে ঘাসফুল শিবিরও। এই প্রথম সৈকতরাজ্যে জনপ্রিতিনিধি পেল তৃণমূল (TMC)।
এমনিতে গোয়ার পঞ্চায়েত নির্বাচন কোনও দলের ব্যানারে হয় না। রাজনৈতিক দলগুলির বাছাই করা প্রার্থীরা প্রতীক ছাড়াই লড়েন। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দাবি, দক্ষিণ গোয়া জেলার নেত্রাবলী থেকে জয়ী হওয়া রাখি নায়েক (Rakhi Naik) তৃণমূলের সদস্য। এটা গোয়া তৃণমূলের জন্য বড় সাফল্য। কারণ মাস ক’য়েক আগেই গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনে সেরাজ্যে খাতা খুলতে পারেনি তৃণমূল। ভোট জুটেছিল ৬ শতাংশ। তৃণমূলের দাবি, ভোটে ব্যর্থ হওয়ার পরও যে তৃণমূল গোয়ার মানুষের জন্য কাজ করেছে রাখি নায়েকের জয়, তারই প্রমাণ।
সার্বিকভাবে গোয়ায় বিরাট সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। মোট ১৮৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৪০টি গিয়েছে পদ্ম-শিবিরের দখলে। গত ১০ অগস্ট রাজ্যের উত্তর গোয়া জেলার ৯৭টি ও দক্ষিণ গোয়া (South Goa) জেলার ৮৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ১,৪৬৪টি আসনে ভোট হয়েছিল। এর অধিকাংশ আসনেই জিতেছে বিজেপি। চ্যালেঞ্জ জানানো তো দূরের কথা, বিজেপির ধারেকাছেও যেতে পারেনি কংগ্রেস (Congress)। মাত্র কয়েকটি পঞ্চায়েত দখল করেছে কংগ্রেস।
[আরও পড়ুন: ‘ভারতীয় হিসেবে গর্বিত’, মোদির ডাকে সাড়া দিয়ে তেরঙ্গা উত্তোলন লস্কর জঙ্গির পরিবারের]
সদ্য বিধানসভা নির্বাচনে গোয়ায় ক্ষমতায় ফিরতে ভালমতো কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে বিজেপিকে। ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় বিজেপি কুড়িটি আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসে। কিন্তু তারপর থেকেই সেরাজ্যে ছন্নছাড়া বিরোধী শিবির। আরও ভাল করতে বলতে গেলে গোয়ায় কংগ্রেসের অবস্থা সঙ্গীন। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত। যার সুযোগ নিয়ে বিজেপি পঞ্চায়েত নির্বাচনে বড়সড় সাফল্য পেল। আগামী দিনেও যদি কংগ্রেস এভাবে ব্যর্থ হতে থাকে, তাহলে বিকপ্ল হিসাবে তৃণমূল বা অন্য কোনও দলের উঠে আসার সুযোগ রয়েছে।