অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: ছাগলের ফসল খাওয়া নিয়ে গন্ডগোল। আর তার জেরেই বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে খুন করল প্রতিবেশী। সোমবার সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জলঙ্গির চোয়াপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পিছনের পাড়ায়। তদন্তে নেমে তিনজনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ছাগলের ফসল খাওয়া অশান্তির একমাত্র কারণ নয়। বরং রক্তারক্তি কাণ্ডের পিছনে রয়েছে পরকীয়া সম্পর্ক।
পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম জীবনানন্দ হালদার (৫৫), বিবেকানন্দ হালদার (৩০)। জানা গিয়েছে, ওই এলাকার একটি জমির মালিক শীতল হালদার। জমিটি ঘেরা আছে কিন্তু সেখানে কোনও ফসল নেই। গতকাল বিকেলে জীবনানন্দের ছাগল ওই জমিতে ঢুকে পড়ে। যা জানতে পেরে শীতল, তার ভাই রণজিৎ এবং ছেলে সুদীপ হাঁসুয়া নিয়ে জীবনানন্দের বাড়িতে হাজির হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ধেয় দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল বচসা বাঁধে। বচসা চলাকালীন তারা আচমকা হাঁসুয়ার কোপ মারে বিবেকানন্দের শরীরে। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির দরজার সামনে লুটিয়ে পড়েন তিনি। তখন পরপর আরও কয়েকটি কোপ মারা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বাবা জীবনানন্দ এগিয়ে গেলে তাঁকেও টেনে পাশের একটি বাড়ির মধ্যে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় আততায়ীরা।
[আরও পড়ুন: বিজেপির সঙ্গে জোটে ইতি, আজই ইস্তফা নীতীশ কুমারের!]
স্থানীয়দের অভিযোগ, ছাগলের ফসল খাওয়া অজুহাত মাত্র। আসলে ওই ঘটনার পিছনে এক মহিলা জড়িয়ে আছেন। মৃত বিবেকানন্দের দিদি নীলিমা মণ্ডল বলেন, “বছর দুয়েক আগে ভাইয়ের বিয়ে হয়েছিল পাড়ারই এক মেয়ের সঙ্গে। বিয়ের দেড় বছরের মাথায় দুর্ঘটনায় ভাইয়ের পা পুড়ে গিয়েছিল বীভৎসভাবে। ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ির ধারণা ছিল, ভাই আর ভাল হবে না। তাই ভেবে বিবাহবিচ্ছেদ করিয়ে নেয়। এরপর থেকেই ভাইয়ের প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে শীতল মণ্ডলের ছেলে সুদীপের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।” স্থানীয় বাসিন্দা যমুনা হালদার জানান, “ডিভোর্সি স্ত্রীয়ের সঙ্গে সুদীপের অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে বিবেকানন্দর সঙ্গে মনোমালিন্য ছিল। যার জেরে ছাগলকে কেন্দ্র করে ওদের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে।” পুলিশ ওই ঘটনার তদন্তে নেমে নদিয়ার করিমপুর থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।