ইন্দ্রনীল শুক্লা: গোবরডাঙা নকসা নাট্যগোষ্ঠীর জাতীয় নাট্যউৎসব ‘রঙ্গযাত্রা’ দশম বর্ষে পড়ল। এ বছর এখানে রাজ্যের কয়েকটি দলের নাটক তো থাকছেই। তারই পাশাপাশি অন্যতম আকর্ষণ মহারাষ্ট্র, মণিপুর, কাশ্মীর ও বাংলাদেশের নাটক। আয়োজক দলের নতুন নাটক ‘চিত্রাঙ্গদা’-ও প্রথমবার মঞ্চস্থ হবে এখানেই। উৎসব চলবে ১৭ থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
প্রসঙ্গত, চার দশক ধরে নিয়মিতভাবে নাটকের চর্চা করে আসছে নকসা নাট্যগোষ্ঠী। দলের কর্ণধার আশিস দাসের তত্ত্বাবধানে এই দীর্ঘ সময়কালে তারা ৬৪টি নাটক মঞ্চস্থ করেছে সফলভাবে। গোবরডাঙা এলাকাটি এমনিতেই দেশে থিয়েটার ভিলেজ হিসেবে পরিচিত। আর তারই অন্যতম শরিক গোবরডাঙা নকসা। তাদের আয়োজনে জাতীয় নাট্য-উৎসবেরও এক দশক পূর্ণ হল। বিগত বছরগুলিতে এখানের উৎসবে দেশ-বিদেশের নানা দল পারফর্ম করে গিয়েছে। এবারেও ব্যতিক্রম ঘটেনি। থাকছে পুনার টাইনি টেলস থিয়েটার কোম্পানির নাটক। বাংলাদেশের শব্দ নাট্যচর্চাকেন্দ্রের ‘কী চাহ শঙ্খচিল’ এবং নিউ জার্সির ইসিটিএ গ্রুপের ‘আমি জগদীশ’ দেখা যাবে এখানে। কাশ্মীরের পরিচালক লাকিজি গুপ্তা উপস্থাপন করবেন একক অভিনীত নাটক ‘মা মুঝে টেগোর বানা দে’। মঞ্চস্থ হবে মণিপুরের নাট্যগোষ্ঠীর নাটক ‘চেইথেং’।
[আরও পড়ুন: ২০ ডিসেম্বর শুরু ৩৯তম নান্দীকার জাতীয় নাট্যমেলা, কোন কোন নাটক দেখতে পাওয়া যাবে?]
আয়োজক দলের ‘প্যান্ডেমিক’, ‘ইয়েস’-ও দেখা যাবে। নাটক ছাড়াও সেমিনার ও নাটকের গানের আয়োজন করা হয়েছে। উৎসব হবে গোবরডাঙা সংস্কৃতি কেন্দ্রের ব্ল্যাক বক্স এবং খোলা উঠোনে। দলের নতুন নাটক ‘চিত্রাঙ্গদা’ দেখা যাবে উৎসবে। পরিচালনা করেছেন ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা-র প্রাক্তনী ভূমিসূতা দাস। ব্যাসদেবের অর্জুন ও চিত্রাঙ্গদা হয়ে রবীন্দ্রনাথ, আর সেখান থেকে এই সময়ে আমাদের চিত্তে ও চৈতন্যে কিভাবে ধরা দিচ্ছে এই যুগল তারই সন্ধানে কয়েক মাস ধরে ওয়ার্কশপ করে এই নাটক তৈরি করেছেন তিনি। ভূমিসূতা জানাচ্ছেন, ‘প্রাচীন হিন্দু দর্শনের অন্যতম শাখা যোগ, আর তার সঙ্গে অ্যাক্রবেটিকস ও নবরস সাধনা- কিভাবে অভিনেতাকে শরীর ও মনের দিক থেকে পরিণত হতে সাহায্য করতে পারে তার খোঁজই হল আমার কাজের মুখ্য বিষয়।’