শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: মাদক-বন্যপ্রাণীর পর উত্তরবঙ্গ দিয়ে সোনা পাচারের চেষ্টা! জ্যাকেট ভিতর কোটি টাকা মূল্যের সোনার বিস্কুট লুকিয়ে পাচার করার ছক কষেছিল দুই যুবক। কিন্তু গাড়ির চালকের উপস্থিত বুদ্ধির জোরে জলপাইগুড়িতে গ্রেপ্তার দুই সোনা পাচারকারী। উদ্ধার প্রায় কোটি টাকা মূল্যের সোনার বিস্কুট। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুজনই মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। ধৃতদের রবিবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন জানাবে পুলিশ।
গাঁজা, ইয়াবা,কাঠ,বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচারের জন্য ৩১ডি জাতীয় সড়ক পাচারকারীরা ব্যবহার করে, তা অজানা নয়। মাঝেমধ্যেই পুলিশ, বনদপ্তর জাতীয় সড়কে অভিযান চালিয়ে হেফাজতে নেয় পাচারকারীদের। উদ্ধার হয় প্রচুর গাঁজা, ইয়াবা, কাঠ, বন্যপ্রাণীর দেহাংশ। এবার সেই জাতীয় সড়কেঅ উদ্ধার হল সোনা। তবে এর কৃতিত্ব বাপ্পা রায় নেমে এক গাড়ির চালককেই দিচ্ছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ‘অনুব্রত মণ্ডল বাঘ, খাঁচায় আটকে রাখা যাবে না’, বীরভূমের সভা থেকে দাবি ফিরহাদের]
ধূপগুড়ির বাসিন্দা বাপ্পা। শনিবার শিলিগুড়ি যাওয়ার জন্য ধূপগুড়ি স্ট্যান্ড থেকে বাপ্পার গাড়ি ভাড়া নেয় দুই যুবক। বাপ্পা জানান, আড়াই হাজার টাকা ভাড়া ঠিক হয়। কিন্তু কিছুদুর যাওয়ার পর দুই যুবকের কথাবার্তা শুনে সন্দেহ হয় তাঁর। ময়নাগুড়ির কাছে একটি ধাবায় দাঁড়িয়ে জলপাইগুড়ি সদর ট্রাফিক ওসি বাপ্পা সাহাকে সন্দেহের কথা জানান বাপ্পা।
[আরও পড়ুন: বঙ্গভঙ্গের দাবির পরদিনই কোচবিহারের রাসমেলায় আমন্ত্রিত অনন্ত মহারাজ, তুঙ্গে বিতর্ক]
চালকের ফোন পেয়ে জাতীয় সড়কে গাড়ি টিকে আটক করার ব্যবস্থা করে পুলিশ। গোশালা মোড়ে গাড়ি আসতেই গাড়ি আটকে তল্লাশি শুরু হয়। তাতেই বেরিয়ে আসে ১৪টি সোনার বিস্কুট। জ্যাকেটের ভিতর এই বিস্কুট নিয়ে যাচ্ছিল পাচারকারীরা। পুলিশ জানিয়েছে, বাজেয়াপ্ত বিস্কুটের ওজন ১ কেজি ৬২৮ গ্রাম। বাজার মূল্য প্রায় কোটি টাকা। রবিবার ধৃতদের জলপাইগুড়ি আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন জানাবে পুলিশ।