অর্ণব দাস, বারাকপুর: বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে উদ্ধার সোনা। শুক্রবার সকালে তল্লাশি মারুতি হুন্ডাই গাড়ি থেকে প্রায় ১১ কেজি সোনা উদ্ধার করে পুলিশ। যার বাজারদর প্রায় ৬ কোটি টাকা। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় চালক-সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুজোর আগে সোনা উদ্ধারের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে নিরাপত্তা নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, দক্ষিণেশ্বর সংলগ্ন ময়লাখলা এলাকায় বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে ধরে একটি মারুতি হুন্ডাই গাড়ি যাচ্ছিল। তা দেখে টহলরত পুলিশের সন্দেহ হয়। গাড়ি থামাতে বলে পুলিশ। সেইমতো গাড়ি থামিয়ে শুরু হয় তল্লাশি। গাড়িতে ছিল একটি ব্যাগ। ওই ব্যাগের মধ্যে তল্লাশি চালাতেই চোখ কপালে তদন্তকারীদের। পুলিশ ওই ব্যাগ থেকে ১১ কেজি সোনার বাট উদ্ধার করে। যার বাজারদর প্রায় ৬ কোটি টাকা। এছাড়াও ওই গাড়ি থেকে ১১টি মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: রেললাইনে ধামসা-মাদল নিয়ে নাচগান, পুরুলিয়ায় কুড়মি আন্দোলনের চতুর্থ দিন উৎসবের মেজাজ]
এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতরা হল নেতাজি রাজারাম পাওয়ার। সে পঁয়ত্রিশ বছর বয়সি। পুলিশের জালে ধরা পড়েছে বছর উনত্রিশের ময়ূর মনোহর পাটিল এবং ছাব্বিশ বছর বয়সি গণেশ চৌহান ও সুরজিৎ মুখোপাধ্যায়। তবে তারা সোনাগুলি কোথায় নিয়ে যাচ্ছিল, আর কেউ এই সোনা পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত কিনা, ধৃতরা আগে কখনও সোনা পাচার করেছিল কিনা – তা এখনও জানা যায়নি। তদন্তকারীরা ওই চারজনকে জেরা করে সমস্ত তথ্য পাবে বলেই আশা।
উল্লেখ্য, চলতি বছর জলপাইগুড়ি স্টেশনে রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধার করা হয়। দুই মহিলা সোনা পাচারকারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১ কোটি ৩১ লক্ষ টাকার সোনা বাজেয়াপ্তও করা হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পাচারের আগে উদ্ধার বিপুল সোনা। গ্রেপ্তার চার পাচারকারী।