সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষ কোন ধর্মস্থলে যান, এটা জানতে লন্ডনভিত্তিক একটি সংস্থা সম্প্রতি সমীক্ষা চালায়। আর সেই সমীক্ষার ফলাফলে যা উঠে এল, তাতে গর্বিত হবেন আপনিও। কারণ ওই সমীক্ষা বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষের পা পড়ে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে। আর এই কারণে ‘ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডস’-এ নাম উঠে গেল স্বর্ণমন্দিরের।
[‘হাফিজ সইদ জিন্দাবাদ’, স্লোগান উঠল উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরে]
শুক্রবার স্বর্ণ মন্দিরের মুখ্য সচিব রূপ সিংয়ের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন লন্ডনের সংস্থাটির ভারতীয় শাখার প্রেসিডেন্ট সুরভি কউল। তিনি জানান, তাঁদের সংস্থা প্রতি তিন মাস অন্তর এই সমীক্ষা চালায়। গত সেপ্টেম্বরের সমীক্ষায় স্বর্ণমন্দিরের নাম উঠে এসেছে। স্বর্ণমন্দির ছাড়াও বৈষ্ণদেবী আগেই এই পুরস্কার পেয়েছে। মন্দিরের কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ এই পুণ্যস্থল দর্শন করতে আসেন। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের কাছ থেকে এই মন্দির ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পেয়েছে। যে কারণে, সম্প্রতি পুণ্যার্থীদের আসার সংখ্যা আরও বেড়ে গিয়েছে।
ভ্রমণার্থীও মনে করেন, পাঞ্জাবের অন্যতম মূল আর্কষণ অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির। ওয়াঘা সীমান্ত ঘেঁষা শিখদের তীর্থভূমি অমৃতসর। শোনা যায়, পঞ্চম গুরু অর্জুন ১৬০১ সালে গড়ে তোলেন আয়তাকার সরোবরের মাঝে হরমন্দির। এই সরোবরের জল অমৃতের মতোই শুদ্ধ, তাই শহরের নাম চক রামদাসপুর থেকে বদলে হয় অমৃতসর। গুরু অর্জুন-ই শিখদের পবিত্রগ্রন্থ আদি গ্রন্থসাহিব সঙ্কলিত করে হরমন্দিরে স্থাপন করেন। ১৬৬১ সালে আহম্মদ শাহ দুরানি শিখদের পবিত্র এই মন্দিরটি ধ্বংস করেন। ১৭৬৪ তে মন্দির আবার নতুন করে গড়ে তোলা হয়। ঊনবিংশ শতকে রণজিৎ সিংজির উদ্যোগে মন্দিরটি পুনরায় সংস্কার করা হয়। এইসময়েই মন্দিরের উপরিভাগ সোনায় মুড়ে দেন রণজিৎ সিং। নাম বদলে হয় স্বর্ণমন্দির। মন্দিরের রুপোর দরজায় ও অন্দরের কারুকার্যও স্বর্ণখচিত।
[‘পদ্মাবতী’ বিতর্কে নয়া মোড়, শূর্পনখার মতো মমতার নাক কাটার হুমকি বিজেপি নেতার]
The post জানেন, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষ কোন ধর্মস্থলে যান? appeared first on Sangbad Pratidin.