সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মুখে দেশে বেকারত্বের পরিসংখ্যান নিয়ে অস্বস্তিতে শাসক দল বিজেপি। আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্ন দেখানো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলেই দেশে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে। এর মধ্যেই মোদি সরকারকে চূড়ান্ত অস্বস্তিতে ফেলে কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরণের মন্তব্য করেছেন, বেকারত্বের মতো সমস্যার সমাধান সরকারের পক্ষে করা সম্ভব নয়।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO) এবং ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ভারতের বেকার সমস্যা নিয়ে একটি যৌথ রিপোর্ট পেশ করেছে বুধবার। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, দেশের বেকারদের মধ্যে শিক্ষিত যুবকদের অনুপাত ক্রমশ বাড়ছে। এই শতাব্দীর শুরুতে দেশের বেকারদের মধ্যে শিক্ষিত যুবসমাজের হার বেড়ে দাঁড়ায় ৬৫.৭ শতাংশ। বর্তমানে দেশের বেকারদের মধ্যে ৭৬.৭ শতাংশ শিক্ষিত যুবক এবং ৬২.২ শতাংশ শিক্ষিত যুবতী। এই ‘ইন্ডিয়া এমপ্লয়মেন্ট রিপোর্ট-২০২৪’ প্রকাশের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা নাগেশ্বরণ।
[আরও পড়ুন: টিকিট পাননি প্রিয় ‘দাদা’, অভিমানে আত্মহত্যার চেষ্টা বিজেপি কর্মীদের]
অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্যে নাগেশ্বরণ বলেন, সব রকমের সামাজিক ও আর্থিক চ্যালেঞ্জের সমাধান করতে পারে না সরকার। এমনটা ভাবাও উচিত নয়। আরও বলেন, বেকারত্বের রোগ নির্ণয় করা সহজ হলেও তার সমাধান করা কঠিন কাজ। নাগেশ্বরণের মন্তব্য সামনে রেখে সরব হয়েছে বিরোধীরা। তোপ দেগেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, কাজের সুযোগ তৈরির কোনও পরিকল্পনা এই সরকারের। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমও। তিনি কটাক্ষ করেন, এই সরকারের বাস্তব অবস্থান স্বীকার করেছেন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা। সেক্ষেত্রে বিজেপিকে গদি ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রবীণ নেতা।
একদিন আগেই রঘুরাম রাজন (Raghuram Rajan) বলছিলেন, “ভারতে কর্মক্ষম জনসংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। কিন্তু সেটা তখনই কাজে আসবে যখন সেই কর্মক্ষম যুবক-যুবতীদের ভালো কাজের সুযোগ তৈরি করা যাবে। তাঁদের জন্য আরও চাকরির ব্যবস্থা করা যাবে। সমস্যা হল, এখানেই আমরা পিছিয়ে পড়ছি।” আরবিআইয়ের প্রাক্তন গভর্নরের সেই বক্তব্য যে বিন্দুমাত্র অতিকথন নয়, তা গতকাল প্রকাশিত পরিসংখ্যানে স্পষ্ট হয়েছে। যদিও ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে নরেন্দ্র মোদি বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।