সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অতিমারী (Pandemic) যখন সক্রিয় ছিল, তখন মুঠোফোনে অনিবার্য ছিল ‘আরোগ্য সেতু অ্যাপ’ (Aarogya Setu)। অতিমারীর প্রভাব একটু থিতিয়ে পড়তেই অচল ঘোষণা করা হল সেই অ্যাপকে। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিয়েছে, আরোগ্য সেতুর ‘ডেটা অ্যাকসেস ও শেয়ারিং প্রোটোকল’ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ এই যে, এ বার থেকে এই অ্যাপের মাধ্যমে আর কোনও রকম তথ্য লেনদেন করা যাবে না।
তথ্যের অধিকার আইনে এই অ্যাপ নিয়ে জানতে চেয়েছিল ইন্টারনেট ফ্রিডম ফাউন্ডেশন (আইএফএফ)। কেন্দ্র জানিয়েছে, ২০২২ সালের ১০ মে থেকে আরোগ্য সেতুর ‘ডেটা অ্যাকসেস ও শেয়ারিং প্রোটোকল’ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই অ্যাপ ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত ডেটার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠে গিয়েছে। অনেকেই উদ্বিগ্ন এই ভেবে যে, ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে অ্যাপ ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে যে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল, তার নিরাপত্তার কী হবে? সেই ডেটা তাহলে গেল কোথায়? তা কি আদৌ নিরাপদ রয়েছে? দেশজুড়ে বহু মানুষ এই অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন। গত মার্চে আরোগ্য অ্যাপে শামিল হন ১১ লক্ষ মানুষ। মোট ১০ কোটিরও বেশি মানুষ অ্যাপটি ডাউনলোড করেছেন।
[আরও পড়ুন: বিজেপির সঙ্গে জোটে ইতি, আজই ইস্তফা নীতীশ কুমারের!]
প্রথম থেকেই অ্যাপটিকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছিল অ্যাপটির নির্মাতা কারা, তা নিয়ে। আসলে অ্যাপের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় তথ্যবিজ্ঞান কেন্দ্র ও কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক এই অ্যাপ তৈরি করেছে। কিন্তু জানা যায়, কেউই বলতে পারেনি অ্যাপটির নির্মাতা কে। এক সমাজকর্মী তথ্য কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রকই অ্যাপটির নির্মাণ সংক্রান্ত তথ্য দিতে পারেনি। তথ্য জানার অধিকার বা আরটিআই প্রয়োগ করে তিনি এ বিষয়ে জানতে চাইলেও মেলেনি তথ্য। উত্তর দিতে পারেনি তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকও।
মন্ত্রকের তরফে ন্যাশনাল ই-গর্ভন্যান্স বিভাগের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারাও শেষ পর্যন্ত জানিয়ে দেয়, এই প্রশ্নের উত্তর তাদের কাছেও নেই। পরে অবশ্য কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপটি তৈরি করার বিষয়ে কোনওরকম অস্বচ্ছতা নেই। বেসরকারি ও সরকারি যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে এই অ্যাপ।