সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০ বছর আগে বাবাকে খুন করেছিল জঙ্গিরা। এবার জঙ্গি হামলায় প্রাণ গেল ছেলের। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) রাজৌরি জেলায় টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হলেন পেশায় সরকারি কর্মী বছর চল্লিশের মহম্মদ আবদুলা রজাক। গত সোমবার মসজিদে প্রার্থনা সেরে বেরনোর সময় তাঁকে গুলিতে ছিন্নভিন্ন করে দেয় জঙ্গিরা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর। গত ১০ দিনে এই নিয়ে ৩ জন সাধারণ নাগরিকের প্রাণহানির ঘটনা ঘটল উপত্যকায়। জানা গিয়েছে, মৃত রজাকের ভাই সেনায় কর্মরত।
আগামী ৭ মে জম্মু ও কাশ্মীরে শুরু হবে লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই জোরকদমে নির্বাচনী প্রচার শুরুও করে দিয়েছেন প্রার্থীরা। তার আগে একের পর এক জঙ্গি হামলায় মৃত্যুর ঘটনা আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে উপত্যকায়। সেনা সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই হত্যাকাণ্ডের খবর প্রকাশ্যে আসার পর গোটা এলেকা ঘিরে ফেলে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তাবাহিনী।
[আরও পড়ুন: কত টাকায় লড়েছিলেন জীবনের প্রথম মামলা? গোপন তথ্য ফাঁস প্রধান বিচারপতির]
এদিকে একের পর এক টার্গেট কিলিংয়ের ঘটনায় কেন্দ্রের মোদি সরকারকে তোপ দেগে সরব হয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি (Mehbooba Mufti)। তিনি বলেন, "একদিকে কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করেছে জম্মু ও কাশ্মীর শান্ত অথচ শেষ ১০ দিনে এই নিয়ে তৃতীয়বার টার্গেট কিলিংয়ের ঘটনা ঘটল। মৃতের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা।" প্রসঙ্গত, ২০ বছর আগে একইভাবে টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হয়েছিলেন রজাকের পিতা মহম্মদ আকবরও।
[আরও পড়ুন: সারছে যুদ্ধের ক্ষত? শেয়ার বাজারে সবুজ সংকেত, ফের ৭৪ হাজারের গণ্ডি পার সেনসেক্সের]
উল্লেখ্য, মাত্র ৪ দিন আগে জম্মু ও কাশ্মীরে বিহারের বাসিন্দা এক যুবককে খুন করেছিল জঙ্গিরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ঘটনার পর উপত্যকার একাধিক প্রান্তে অভিযানে নামে নিরাপত্তাবাহিনী। ২ সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়। এদিকে গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, জম্মু ও কাশ্মীরের একাধিক প্রান্তে বেছে বেছে হামলার ছক কষেছে জঙ্গিরা। সবমিলিয়ে সরকারের তরফে যতই শান্ত জম্মু ও কাশ্মীরের ছবি তুলে ধরা হোক না কেন, বাস্তবে আতঙ্ক কাটছে না উপত্যকায়।