গৌতম ব্রহ্ম: এখনই কলকাতা ফিরছেন না রাজ্যপাল। তিনি শনিবার ফের যাচ্ছেন উত্তরবঙ্গে। আর সেখানেই তৃণমূল (TMC) প্রতিনিধি দলকে দেখা করার জন্য ডেকে পাঠিয়েছেন। সূত্রের খবর, শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ দার্জিলিংয়ের রাজভবনে তৃণমূলকে দেখা করার আহ্বান জানিয়েছে সি ভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose)।
শুক্রবার এই বার্তা পেয়ে রাজভবনের সামনে ধরনা মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bannerjee)। তাঁর বক্তব্য, ”যেখানে আমরা ধরনা করছি, সেখান থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরে দার্জিলিং। দিল্লি ১৫০০ কিলোমিটার দূর। তিনি অন্তত অর্ধেক রাস্তা এসেছেন। উনি আমাদের খবর পাঠিয়েছেন, আগামিকাল বিকেলে আমাদের সঙ্গে দেখা করবেন। আমরা তাঁর পদকে সম্মান করি। আমাদের তিন প্রতিনিধি – কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র, প্রদীপ মজুমদার যাবেন দার্জিলিংয়ে আপনার সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু এখানে আপনাকে আসতে হবে। এই রাজভবনে এসেই আপনাকে আমার সঙ্গে, আমাদের সঙ্গে দেখা করতেই হবে। আমি ৫০ লক্ষ চিঠি আপনাকে পড়াব।”
উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে সোজা জলপাইগুড়ি পৌঁছেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সেখানে সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখেন। এর মাঝে তৃণমূলের সঙ্গে দেখা করা নিয়ে তাঁর মন্তব্য ছিল, ”দেখা করার হলে এখানে আসুন।” এর পর আবার দিল্লি ফিরে যান সি ভি আনন্দ বোস। আর বৃহস্পতিবার রাত থেকেই রাজ্যপালের সাক্ষাৎ প্রার্থী হয়ে রাজভবনের সামনে ধরনায় বসেন অভিষেকের নেতৃত্বে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। সঙ্গে ১০০ দিনের কাজে ‘বঞ্চিত’রা। অভিষেক ঘোষণা করেন, রাজ্যপাল না ফেরা পর্যন্ত এখানে ধরনা চলবে। থাকবেন তিনি নিজে।
এর পর শুক্রবার রাজ্যপাল জানান, তিনি শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় দার্জিলিং রাজভবনে দেখা করবেন তৃণমূল প্রতিনিধিদের সঙ্গে। তাতেই অভিষেকের প্রতিক্রিয়া, দিল্লি-উত্তরবঙ্গ যাতায়াত করতে পারছেন, আর কলকাতায় আসছেন না কেন? কীসের ভয়? তবে তাঁকে সম্মান জানিয়ে তৃণমূলের ৩ প্রতিনিধি দার্জিলিংয়ে যাবেন ঠিকই, কিন্তু রাজ্যপালকে কলকাতায় এসে ধরনারত কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতেই হবে, তাঁদের কথা শুনতেই হবে। নইলে এখানেই চলবে ধরনা।