সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘গণতন্ত্রে হিংসার কোনও জায়গা নেই। এই শয়তানের খেলা শেষ হওয়া উচিত।’ রাজ্যে পঞ্চায়েত হিংসা নিয়ে কড়া বিবৃতি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose)। ভাঙড়ে হিংসার ঘটনায় রাজ্যপাল এতটাই ‘মর্মাহত’ যে, সব কর্মসূচি বাতিল করে তিনি শুক্রবার ভাঙড় ছুটে যেতে পারেন। যদিও সরকারিভাবে এ নিয়ে এখনও রাজভবনের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
মনোনয়ন পর্বের শেষদিন ভাঙড় ও চোপড়ার হিংসা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে রাতে রীতিমতো কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল। বিবৃতিতে তিনি লিখেছেন, “গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদমাধ্যম আক্রান্ত হয়েছে। তার মানে গণতন্ত্র আক্রান্ত। শয়তানের খেলা শেষ হওয়া উচিত। পশ্চিমবঙ্গেই সেটার শেষের শুরু।” তিনি আরও লিখেছেন, “যে কোনও মূল্যে সহিংসতা রুখতে হবে। গণতন্ত্রকে স্তব্ধ করার অনুমতি কাউকে দেওয়া হবে না। গণতন্ত্রে জনতাই প্রভু। নির্ভয়ে নিজের ভোট দেওয়ার অধিকার রয়েছে তাঁদের। গণতান্ত্রিক নির্বাচনে হিংসার কোনও জায়গা নেই।’’
[আরও পড়ুন: ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি-যৌন হেনস্তার অভিযোগ, চার্জশিট দিল্লি পুলিশের়]
শোনা যাচ্ছে, মনোনয়ন-পর্বে অশান্ত হয়ে ওঠা ভাঙড়ে যেতে পারেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সব ঠিক থাকলে শুক্রবারই তিনি ভাঙড়ে যেতে পারেন। রাজভবন সূত্রে খবর, শুক্রবার তাঁর যাবতীয় কর্মসূচি বাতিল করেছেন রাজ্যপাল। তবে, এ নিয়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত রাজভবনের তরফে স্পষ্ট ভাবে কিছু জানানো হয়নি। এর আগে রামনবমী ঘিরে হিংসা ঘটনা ঘটার পর একই রকম তৎপরতা দেখান সিভি আনন্দ বোস। সেবারেও ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: একই বলে দু’বার রিভিউ! অশ্বিনের কাণ্ডে অবাক ক্রিকেটপ্রেমীরা]
এদিকে, রাজ্যপাল নিয়ে ফের ভিন্ন সুর সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীর। এদিন রাজ্যপালকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘রাজ্যপাল কেন নীরব, ওঁকে জিজ্ঞেস করুন। উনি রাজীব সিনহাকে আটকাতে পারতেন। যখন করার সুযোগ ছিল, তখন তিনি করেননি।” অন্যদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের রাজ্যপালের প্রতি আস্থা দেখিয়ে বলেন, ‘‘উনি বাইরে আছেন। আমার বিশ্বাস, আমি যতদূর ওঁকে চিনি। উনি কোনও না কোনও পদক্ষেপ নেবেন।’’ রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যপালের প্রতি শুভেন্দু যখন অনাস্থা প্রকাশ করছেন, তখন সুকান্ত আস্থাই রাখছেন। এরপরই রাজ্যপাল কড়া বিবৃতি দেন।