ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ধূপগুড়ির নবনির্বাচিত বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়কে শপথবাক্য পাঠ করানো নিয়ে এবার সোজা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তাঁর দাবি, রাজবংশী ওই বিধায়কের শপথ অনুষ্ঠান হোক রাজভবনেই। তাতে রাজভবনের গরিমা বাড়বে।
বস্তুত, ৮ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়ির বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হয়ে এসেছেন নির্মলচন্দ্র রায় (Nirmal Chandra Roy)। কিন্তু বিধানসভা এবং রাজভবনের টানাপোড়েনে এখনও শপথ নিতে পারেননি তিনি। মাঝে একবার জানা গিয়েছিল, রাজভবনে নির্মলচন্দ্র রায়কে শপথ নেওয়ার জন্য ডেকেছেন রাজ্যপাল। অথচ সেই চিঠি সময়মতো তাঁর কাছে পৌঁছায়নি বলে পালটা দাবি করেছেন তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী। এসবের মাঝে মঙ্গলবারই রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)। তিনি এদিন বলেন,”আগে শপথ নিয়ে এমন আচরণ দেখা যেত না। ধনকড়ের সময় থেকেই এই পদ্ধতির পরিবর্তন হল। এখনও তাই চলছে৷”
[আরও পড়ুন: পিঠে PFI লেখার অভিযোগ ভুয়ো, গুজব ছড়ানোয় কেরলের সেনাকর্মীকেই গ্রেপ্তার পুলিশের]
স্পিকারের ক্ষোভপ্রকাশের পরই শোনা যায় শপথবাক্য পাঠ করানোর দায়িত্ব দেওয়া দেওয়া হচ্ছে ডেপুটি স্পিকারকে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari) তেমনটাই দাবি করেন। যদিও ডেপুটি স্পিকার জানিয়ে দেন, তিনি কোনও চিঠি পাননি। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানান, রাজভবনের তরফে ডেপুটি স্পিকারকে কোনও চিঠি দেওয়া হয়নি। তবে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যপাল একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। আর সেই চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, তফশিলি উপজাতির ওই বিধায়কের শপথ রাজভবনেই করাতে চান। তাতে রাজভবনের গরিমা বাড়বে।
[আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে লাভ জেহাদ, জমি জেহাদ! আশঙ্কা প্রকাশ আরএসএসের বৈঠকে]
মুখ্যমন্ত্রী এই চিঠির প্রতিলিপি পাঠান স্পিকারকে। সেই চিঠি হাতে পাওয়ার পর রাজ্যপালকে জবাবও দিয়েছেন। তিনি রাজ্যপালকে জানিয়েছেন, “বিধানসভার (West Bengal Assembly) গরিমা অনেক বেশি। এই বিধানসভায় সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ শপথ নিয়েছেন। আপনি বিধানসভায় এসে শপথবাক্য পাঠ করাতে চান।”