গোবিন্দ রায়: ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। নতুন মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণের দিনই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankar) জানিয়েছিলেন, হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন তিনি। যেমন কথা, তেমন কাজ। ১৩ মে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কোচবিহারের শীতলকুচি যাবেন রাজ্যপাল। মঙ্গলবার টুইট করে নিজেই সে খবর দিয়েছেন ধনকড়।
এদিন টুইটারে ধনকড় জানিয়েছেন, কোচবিহারে হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করবেন তিনি। পাশাপাশি, আক্রান্তদের সঙ্গে কথাও বলবেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এই সফর গিয়ে নবান্ন-রাজভবন টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। রাজভবন সূত্রের খবর, কোচবিহার সফরের জন্য রাজ্যের কাছে একটি হেলিকপ্টার চেয়ে ছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু তা তিনি পাননি। পরে বিএসএফের কপ্টারে কোচবিহার যাবেন তিনি।
[আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য আধিকারিক পরিচয়ে করোনা রোগীকে হাসপাতালে ভরতির নামে প্রতারণা, গ্রেপ্তার যুবক]
এদিকে শীতলকুচি গুলিকাণ্ডের তদন্ত চলছে জোরকদমে। জোড়পাটকির নির্দিষ্ট বুথে নিযুক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৬ জওয়ানকে তলব করেছিল সিআইডি। মঙ্গলবার হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও তাঁরা আসেননি। সূত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে ভারচুয়াল হাজিরার আরজি জানিয়েছেন তাঁরা। এদিন মাথাভাঙা আরটি অফিসার ও মাথাভাঙা থানার এসআইকে তিন ঘণ্টা ধরে জেরা করেন সিটের আধিকারিকরা। আগামিকাল কোচবিহারের এসডিপিও সুরজিৎ মণ্ডলকে তলব করা হয়েছে।
শীতলকুচিতে (Sitalkuchi) কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে জওয়ানদেরও তলব করে সিআইডি (CID)। সূত্রের খবর, ওই দিন জোড়পাটকির ১২৬ নং বুথে কর্মরত CISF-এর দুই অফিসার-সহ ৬ জনকে তলব করেছিল রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা। সেদিনের ঘটনা নিয়ে তাঁদের কাছে বিস্তারিত জানতে চান তদন্তকারীরা। তাই চিঠি পাঠিয়ে সশরীরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। অন্যদিকে সোমবার সিআইডির নির্দেশ মেনে ভবানীভবনে হাজিরা দিয়েছেন মাথাভাঙা থানার আইসি। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে তাঁর জেরাপর্ব।