সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই চওড়া হচ্ছে রাজ্য-রাজ্যপাল সম্পর্কের ফাটল। এবার সরাসরি রাজ্যে সরকার বদলের ডাক দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankar)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাকে নিজের জমিদারি বলে মনে করেন বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি।
এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে গিয়ে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যপাল। তাঁর কথায়, এ রাজ্যকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ‘জমিদারি’ মনে করেন। বলেন, “তাই আমি ডায়মন্ড হারবারে গেলে গার্ড অফ অনার দিতে নিষেধ করা হয়। এটা কী ধরনের ভদ্রতা?” এখানেই থামেননি রাজ্যপাল। নজিরবিহীনভাবে রাজ্য সরকার ‘পরিবর্তনের’ ডাক দেন রাজ্যপাল। ধনকড়ের কথায়, “গণতন্ত্রের কণামাত্র বাঁচিয়ে রাখতে চাইলে বাংলায় সাফাই হওয়াটা জরুরি।”
[আরও পড়ুন : ভোটের আগেই ছাড়পত্র পেল নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর মেট্রো, ১৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে পারে পরিষেবা]
বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, বেকারত্ব নিয়েও সরব হন রাজ্যপাল। তাঁর কথায়, “পশ্চিমবাংলা একসময় সংস্কৃতির কেন্দ্র ছিল। কয়েক দশক আগে পর্যন্ত এখানে বহু শিল্প-কারখানা ছিল। আর এখন সেখানে কোনও শিল্প নেই, কারখানা নেই, চাকরি নেই। এ বিষয়গুলি বেদনাদায়ক।” আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও রাজ্যকে তুলোধোনা করেছেন তিনি। ধনকড়ের কথায়, “রাজ্যের পরিস্থিতি রাজ্যপালের চেয়ে ভাল কেউ জানে না। আমি প্রকাশ্যে যা বলেছি তা তো শুধুমাত্র হিমশৈলের চূড়ামাত্র।” তাঁর আরও অভিযোগ, “বাংলার প্রশাসনের সম্পূর্ণ রাজনীতিকরণ করা হয়েছে। আমলারা সরকারের হয়ে কাজ করেছেন।”
রাজ্যপালের এই অভিযোগের পালটা জবাব দেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। তাঁর কথায়, “এই রাজ্যপালকে এখনই ফেরত পাঠানো প্রয়োজন। আমরাই ফের ক্ষমতায় ফিরছি।” প্রসঙ্গত, বাংলার রাজ্যপাল পদের দায়িত্বগ্রহণের পর থেকে নবান্নের সঙ্গে জগদীপ ধনকড়ের টানাপোড়েন চলছে। নির্বাচনের আগে সেই টানাপোড়েন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।