দীপঙ্কর মণ্ডল: নজরুল মঞ্চে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন (convocation) অনুষ্ঠান হবে আগামী ২৮ জানুয়ারি। কিন্তু, তার আগেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়ল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সমাবর্তনের আমন্ত্রণপত্রে রাখা হয়নি খোদ আচার্য জগদীপ ধনকড়ের নাম। যা নিয়ে ফের বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে।
সোমবার থেকে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের কার্ড বিলি করা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। আর তাতে রাজ্যপালের নাম দেওয়া হয়নি। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে নিজেদের দায় এড়িয়ে পুরো বিষয়টিই চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজভবনের ওপরে। জানানো হয়েছে, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের আসার বিষয়ে শিক্ষা দপ্তরের তরফে কোনও সম্মতিসূচক বার্তা দেওয়া হয়নি। তাই আমন্ত্রণপত্রে তাঁর নাম রাখা হয়নি।
[আরও পড়ুন: ২৭ জানুয়ারি বিধানসভায় CAA বিরোধী প্রস্তাব পেশ, বাম-কংগ্রেসকে শামিলের বার্তা পার্থর ]
যদিও এই কথা ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে রাজভবন সূত্রে। উলটে তাদের দাবি, অনেকদিন আগেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যাওয়ার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বলেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু, কোনও এক অজ্ঞাত কারণে সেই কথা অস্বীকার করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হওয়া সত্ত্বেও তাঁর নাম আমন্ত্রণপত্রে রাখা হচ্ছে না। এতে রাজ্যেরই অসম্মান হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: জানুয়ারির শেষেও বরফ কাশ্মীরে, প্রবল উত্তুরে হাওয়ায় জাঁকিয়ে শীত কলকাতায় ]
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী ২৮ তারিখ নজরুল মঞ্চের ওই অনুষ্ঠানে নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডিলিট দেওয়ার কথা। এবিষয়ে আগেই ঘোষণা করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে। অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি হওয়ার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তার পরেও তাঁর নাম প্রধান অতিথি হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি আমন্ত্রণপত্রে। তাঁর সঙ্গে একই মঞ্চে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু, তা সত্ত্বে তাঁর নাম রাখা হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ছাপানো আমন্ত্রণপত্রে। যার ফলে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, জেনেশুনেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
The post সমাবর্তনের আমন্ত্রণপত্রে ব্রাত্য রাজ্যপাল, ফের বিতর্কে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় appeared first on Sangbad Pratidin.