সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে বেসরকারিকরণে (Privatisation) গতি আনতে চায় কেন্দ্র। চলতি বছরের বাজেটে বেসরকারিকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিল কেন্দ্র সরকার। কিন্তু সেই বিপুল লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছেও যাওয়া সম্ভব হয়নি চলতি অর্থবর্ষের প্রথমার্ধে। তাই দ্বিতীয়ার্ধে আরও অন্তত গোটা ৫-৬ সরকারি সংস্থার বেসরকারিকরণকে টার্গেট করেছে মোদি (Narendra Modi) সরকার। এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন কেন্দ্রীয় লগ্নি ও সরকারি সম্পত্তি পরিচালনা দপ্তরের সচিব তুহিনকান্ত পাণ্ডে।
আসলে, চলতি বছরের বাজেটে বেসরকারিকরণ থেকে ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। কিন্তু অর্থবর্ষের প্রথম সাতমাস কেটে গিয়েছে। অথচ, নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ১০ শতাংশও আয় করে উঠতে পারেনি কেন্দ্র। যার ফলে সরকারি খরচ সামলাতে বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কেন্দ্রকে। বিশেষ করে করোনার ধাক্কা সামলাতে এখনও সরকারের বহু অর্থের প্রয়োজন। যা বেসরকারিকরণের মাধ্যমে তুলে আনার টার্গেট রেখেছিল কেন্দ্র। সেই লক্ষ্যপূরণের লক্ষ্যেই মার্চ মাসের আগে প্রায় আধ ডজন কেন্দ্রীয় সরকারি সম্পত্তির বিলগ্নিকরণের চেষ্টা করবে মোদি সরকার।
[আরও পড়ুন: ধ্বংস হল না সামন্ত সংস্কৃতি! বিদায়ী বার্তায় বিতর্ক উসকে দিলেন প্রধান বিচারপতি]
কেন্দ্রীয় লগ্নি ও সরকারি সম্পত্তি পরিচালনা দপ্তরের সচিব তুহিন কান্ত পাণ্ডে বলেন,”এই বছরই আমরা দেখব ৫-৬টি বেসরকারিকরণ। এখন আর বেসরকারিকরণের বিষয়টি সরকারের নীতির স্তরে সীমাবদ্ধ নেই। বাস্তবে সেই নীতি কার্যকর হচ্ছে।” পাণ্ডে জানিয়েছেন, বিপিসিএল (BPCL), বিইএমএল (BEML), শিপিং কর্পোরেশন-সহ গোটা ছয়েক কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার জন্য দরপত্র চাওয়া হবে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতেই। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, জানুয়ারিতেই প্রথমবার বাজারে আসতে পারে এলআইসির শেয়ারও। এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রির (Air India) প্রক্রিয়াই বাকি সংস্থাগুলির ক্ষেত্রেও অনুসরণ করা হবে। যদিও এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রি করে কাঙ্ক্ষিত অর্থের ধারে কাছে যেতে পারেনি কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় প্রচারে গিয়ে আটক ৪ তৃণমূল সমর্থক, আগরতলায় বাড়ি বাড়ি পুলিশি তল্লাশির অভিযোগ]
কেন্দ্রের বেসরকারিকরণের এই তাড়াহুড়ো অনেকাংশে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে এই সংস্থাগুলির কর্মীদের মধ্যে। প্রতিবাদ করেছে একাধিক রাজ্য সরকারও। তবে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানিয়ে দিয়েছেন, এখন শুধু কেন্দ্রের সম্পত্তিই বেচবে মোদি সরকার। কোনও রাজ্যের সম্পত্তিতে হাত দেওয়া হবে না।