সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম কমাতে নয়া উদ্যোগ কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের। এবার থেকে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম নির্ধারিত হবে নতুন পদ্ধতিতে। যার ফলে CNG, PNG’র মতো জ্বালানির দাম একধাক্কায় অনেকটা কমে যাবে। কেন্দ্রের দাবি, নতুন পদ্ধতিতে দাম নির্ধারিত হলে পাইপড ন্যাচারাল গ্যাসের দাম ১০ শতাংশ এবং সিএনজির দাম ৬-৯ শতাংশ দাম কমে যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানান, এবার থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে উৎপাদিত যাবতীয় জ্বালানির দাম ঠিক হবে আমদানিকৃত অশোধিত তেলের দামের নিরিখে। এর আগে ভারতে বছরে দু’বার প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম সংশোধন করা হত। তবে এবার থেকে প্রতি মাসে সেই দাম খতিয়ে দেখে সংশোধন করা হবে। এখনও পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছিল বিশ্বের চারটি প্রধান গ্যাস ট্রেডিং হাব- হেনরি হাব, আলবেনা, ন্যাশনাল ব্যালেন্সিং পয়েন্ট (UK) এবং রাশিয়ান গ্যাসের দামের ভিত্তিতে। কিন্তু এবার থেকে সেটা নির্ধারিত হবে শুধু ভারতের আমদানিকৃত ক্রুড বাস্কেটের দামের উপর।
[আরও পড়ুন: হনুমানের আদর্শেই অনুপ্রাণিত বিজেপি”, হনুমান জয়ন্তীতে এক সুর মোদি ও জয়শংকরের]
নতুন ফর্মুলা বাস্তবায়নের ফলে বাজারের ওঠা-নামায় প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনকারীর কোনও ক্ষতি হবে না। আন্তর্জাতিকভাবে গ্যাসের দাম ব্যাপক বৃদ্ধির কারণে গ্রাহক ক্ষতির হাত থেকে রেহাই পাবেন তারা। কেন্দ্রের দাবি এই নয়া পদক্ষেপে দিল্লিতে প্রতি কেজি সিএনজির দাম ৭৯.৫৬ টাকা থেমে কমে হতে পারে ৭৩.৫৯ টাকা। অপরদিকে হাজার ঘন মিটার পিএনজির দাম ৫৩.৫৯ টাকা থেকে কমে ৪৭.৫৯ টাকা হতে পারে। এদিকে মুম্বইতে সিএনজির দাম প্রতি কেজিতে ৮ টাকা কমে ৭৯ হতে পারে। পিএনজির দামও পাঁচ টাকা কমে ৪৯ টাকা হতে পারে।
[আরও পড়ুন: ৫০ লক্ষ কোটির বাজেট পাশ মাত্র ১২ মিনিটে! ‘অকেজো’ সংসদ নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ খাড়গের]
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে ব্যবসায়ীরা সুবিধা পাবেন। জ্বালানির দাম কমায় বহু ক্ষেত্রে উৎপাদন মূল্য অনেকটা কমে যাবে। এ ছাড়া সার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সস্তায় গ্যাস পাবে। এর ফলে সারের দাম কমানোরও সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতকে দূষণহীন জ্বালানি নির্ভর অর্থনীতি হিসেবে গড়ে তুলতে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার বাড়াতে চাইছে কেন্দ্র। সেকারণেই এই নয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।