সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টুইটারে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সরকার বিরোধী টুইট মুছে ফেলা হোক। মাইক্রো ব্লগিং সাইটকে এমনই নির্দেশ দিল কেন্দ্র। তাদের দাবি, করোনা নিয়ে নানা টুইট দেশবাসীর মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে। যা এমন পরিস্থিতিতে কাম্য নয়। এই ধরনের পোস্ট ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইনবিরোধীও। কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে ইতিমধ্যেই একাধিক নামী ব্যক্তির কোভিড সংক্রান্ত টুইট ব্লক করে দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের থেকে নোটিস পাওয়ার পরই বাংলার বিদায়ী মন্ত্রী মলয় ঘটক, সাংসদ রেবান্ত রেড্ডি, অভিনেতা বিনীত কুমার সিং, পরিচালক বিনোদ কাপরির মতো বিশিষ্টদের টুইট ব্লক করে দিয়েছে টুইটার (Twitter)। কী ছিল সেই সমস্ত টুইটে? আসলে গত মাস থেকে দেশে হঠাৎই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে মারণ ভাইরাসটি। লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। তারই মধ্যে আবার অক্সিজেনের হাহাকার। হাসপাতালে নেই বেড। পর্যাপ্ত পরিমাণ করোনা ভ্যাকসিন না থাকারও অভিযোগ উঠেছে। এমন সংকটকালে কেন্দ্রের ভূমিকা ও পদক্ষেপ নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। আবার অনেকে অতিমারীর মধ্যে কুম্ভমেলা (Kumbh Mela) আয়োজন নিয়েও একহাত নিয়েছেন কেন্দ্রকে। এই ধরনের ‘উসকানিমূলক’ টুইটই ব্লক করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: কোভিশিল্ডের চেয়েও কেন দামী কোভ্যাক্সিন? দাম ঘোষণা করে ব্যাখ্যা দিল ভারত বায়োটেক]
যদিও ঠিক কোন টুইটগুলি ব্লক করা হয়েছে কিংবা কী কারণে তাঁদের টুইটগুলি আর দেখা যাচ্ছে না, তা বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেনি টুইটার। বরং যাঁদের টুইট ব্লক হয়েছে, সেই সব ইউজারকে নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে খবর। চিঠিতে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের মন্তব্য ভারতীয় আইনবিরোধী। কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে যে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা Lumendatabase.org ওয়েবসাইটটিতে জানিয়েছে টুইটার। ব্লক করে দেওয়া টুইটগুলি দেশের বাইরে বসে লগ ইন করে দেখা যাবে। কিন্তু ভারতে সেসব আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।
তবে এই প্রথম নয়, মাস কয়েক আগেও টুইটারকে একইরকম নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র। দিল্লিতে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষক বিক্ষোভকে সমর্থন করে সরকারের তীব্র নিন্দা করা হয়েছিল বহু পোস্টে। টুইটারকে সেই সমস্ত টুইট মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র।এতে হিংসার বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে বলে দাবি করে কেন্দ্রীয় সরকার। এবারও করোনা (Corona Virus) মোকাবিলায় নিজেদের ‘ব্যর্থতা’ ঢাকতেই টুইট ব্লক করার নির্দেশ দেওয়া হল বলেই কটাক্ষ করছে বিশেষজ্ঞ মহল।