সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বাজার চলতি বহু ওষুধ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র। এবার সংখ্যাটা ১৫৬। গুণমান পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় এই ১৫৬টি ‘ককটেল ওষুধ’ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে মোদি সরকার। বৃহস্পতিবার থেকে ওষুধগুলি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, এই ওষুধগুলি শরীরের জন্য বিপজ্জনকও হতে পারে।
কেন্দ্র যে ওষুধগুলি নিষিদ্ধ করেছে সেগুলি হল, ডোজ কম্বিনেশন তথা ‘ককটেল ওষুধ’। সাধারণ ভাবে ককটেল ওষুধ বলতে বোঝায়, একটি ওষুধের মধ্যে অনেকগুলি ওষুধের সংমিশ্রণ রয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞ কমিটি পরীক্ষা করে দেখে যে ওই ওষুধ রোগীদের পক্ষে বিপজ্জনক। সেই রিপোর্ট আসার পর মোদি সরকার ওই ওষুধ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। অভিযোগ, উপযুক্ত বৈজ্ঞানিক তথ্য ছাড়াই অনেক ওষুধ কোম্পানি এই ওষুধ তৈরি করছে।
[আরও পড়ুন: হাজিরা না দিলে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা! ১৮ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে তলব সুপ্রিম কোর্টের]
সব মিলিয়ে তালিকাটি ১৫৬টি ওষুধের। এর মধ্যে বাজার চলতি অ্যান্টিবায়োটিক এবং পেইন কিলার সংমিশ্রণ। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মেফেনামিক অ্যাসিড + প্যারাসিটামল ইনজেকশন, লিভোসেট্রিজাইন + ফেনিলেফ্রিন এইচসিএল + প্যারাসিটামল, ক্যামিলোফিন ডাইহাইড্রোক্লোরাইড ২৫ এমজি + প্যারাসিটামল ৩০০ এমজি, প্যারাসিটামল + ক্লোরফেনির্মাইন মালেট + ফেনিল প্রোপানোলামিন সহ একাধিক ওষুধ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: সাইকেলে চড়তে গিয়েই যৌনাঙ্গে আঘাত! মহারাষ্ট্রে নির্যাতিত শিশুদের পরিবারকে বলেন প্রধান শিক্ষিকা]
প্রসঙ্গত, গত বছরও ১৪টি ককটেল ওষুধকে গুণমানের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্র। তাতে ছিল, এতে রয়েছে সাধারণ সংক্রমণ, সর্দিকাশি ও জ্বর নিরাময়ের ওষুধ। নিমেসুলাইড+ প্যারাসিটামল ডিসপারসিবেল ট্যাবলেট, অ্যামোক্সিসিলিন+ব্রোমহেক্সিনের মতো ককটেল। এর আগে গত বছর গুণমানের পরীক্ষায় ডাহা ফেল করেছিল এদেশে বহুল ব্যবহৃত ৪৮ ওষুধ। যার মধ্যে হার্টের ওষুধ, ডায়াবেটিস, প্রেশার থেকে শুরু করে মাল্টিভিটামিন ইত্যাদি ওষুধ ছিল। পরীক্ষা করে দেখা যায়, ওষুধগুলির উপাদানে গোলমাল রয়েছে।