সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেইনকিলার নিয়ে এবার সতর্ক হল প্রশাসন। ৩২৮টি ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশন (FDCs) ড্রাগসের উপর জারি হল নিষেধাজ্ঞা। এর পাশাপাশি ছ’টির উপর সীমাবদ্ধতা জারি হয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে এই কম্বিনেশন ড্রাগস তৈরি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে মন্ত্রকের আইনি যুদ্ধ চলছিল। এবার সেই লড়াইয়ের ইতি হল।
স্বাস্থ্য ও পরিবার সুরক্ষা মন্ত্রক ২০১৬ সালের ১০ মার্চ ৩৪৪টি FCD বন্ধ করার নির্দেশ জারি করে। ২৬এ ধারায় ৩৪৪টি FCD-র উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। পরে আরও পাঁচটি ড্রাগ ওই তালিকাভুক্ত করা হয়। কিন্তু ২০১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর দেশের সর্বোচ্চ আদালতে এর বিরোধিতা হয়। সুপ্রিম কোর্ট বলে এর মধ্যে এমন কয়েকটি ড্রাগ আছে যা ১৯৮৮ সাল থেকে তৈরি হচ্ছে। এছাড়া বছরে এগুলি ৭৪০ কোটি টাকার ব্যবসা দেয়। ভাল করে পর্যবেক্ষণ না করে এগুলি বন্ধ করে দেওয়া অর্থহীন। এরপরই ড্রাগ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি বোর্ডকে ড্রাগগুলি পরীক্ষা করতে নির্দেশ দেয় আদালত। পরীক্ষার পর আদালতের কাছে রিপোর্ট পেশ করে তারা। সেখানে জানানো হয়, এই ৩২৮টি FCDs মানুষের বিপদ ডেকে আনতে পারে। তারা এই ড্রাগগুলি বন্ধের সুপারিশও দেয়। এই মামলায় আরও ছ’টি FCDs তৈরির উপর সীমাবদ্ধতাও জারি করা হয়। এর মধ্যে আছে বিভিন্ন পেইনকিলার, কফ সিরাপ, সর্দির ওষুধ ইত্যাদি।
[ জেটলিকে নিয়ে মালিয়ার অভিযোগ, পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি বিরোধীদের ]
তবে এবার যে ড্রাগগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে, সেগুলি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ও একাধিক রাজ্যের হাই কোর্ট আপত্তি তুলেছিল। অল ইন্ডিয়া ড্রাগ অ্যাকশন নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বন্ধ হয়ে যাওয়া FCD-গুলি প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার। তবে এটা খুব নগণ্য। এই ড্রাগগুলি ব্যবহার করা একেবারেই নিরাপদ নয়। গোটা ফার্মা মার্কেটের কমপক্ষে এক চতুর্থাংশ এই ড্রাগে ভরে রয়েছে। ব্যবসায়িক দিক থেকে এর মূল্য প্রায় ১.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে এই নিষেধাজ্ঞা জারির ফলে ৬ হাজার ব্র্যান্ড সমস্যায় পড়েছে। ব্যান হয়েছে স্যারিডন, ত্বকের ক্রিম প্যানডেরাম, কম্বিনেশন ডায়াবেটিস ড্রাগ গ্লুকোনর্ম পিজি, অ্যান্টিবায়োটিক লুপ্রিডিক্লস ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ট্যাক্সিং এজেড।
[ চিতাবাঘের মল-মূত্রই সাফল্যের চাবিকাঠি, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের তথ্যফাঁস প্রাক্তন সেনাকর্তার ]
The post ৩২৮টি ওষুধের উপর নিষেধাজ্ঞা, কোপ পড়ল স্যারিডনেও appeared first on Sangbad Pratidin.