সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডিজিটাল অ্যারেস্ট। সাম্প্রতিক সময়ে সাইবার অপরাধের এই নতুন ধারা নিয়ে আতঙ্ক ক্রমেই বাড়ছে। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় বড় পদক্ষেপ করল ইন্ডিয়ান সাইবারক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার। দেশজুড়ে 'সন্দেহজনক' ১ হাজার ৭০০ স্কাইপ আইডি ও ৫৯ হাজার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হল। সেই সঙ্গেই জনমানসে 'ডিজিটাল অ্যারেস্ট' নিয়ে সচেতনতা জারি করতে এক কর্মসূচিরও পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বুধবার এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, ডিজিটাল গ্রেপ্তারি রুখতে প্রচার চালাবে কেন্দ্র। সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেওয়ার পাশাপাশি দিল্লি মেট্রোয় ঘোষণার মতো নানা পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এমাসেই ডিজিটাল অ্যারেস্ট নিয়ে বিস্ফোরক রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। দাবি করা হচ্ছে, গত ১০ মাসে এই প্রতারণার শিকার হয়ে ২,১৪০ কোটি টাকা খুইয়েছেন সাধারণ মানুষ। থাইল্যান্ড, হংকং, লাওসের মতো একাধিক দেশ থেকে ভারতের মাটিতে চলছে এই ডিজিটাল প্রতারণা। এবং দেশের পাশাপাশি বিদেশের ব্যাঙ্কেও জমা হচ্ছে এই প্রতারণার অর্থ। এই মামলার তদন্তে নেমে প্রায় ১৫৯ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে ইডি। যার পুরোটাই ডিজিটাল অ্যারেস্টের মাধ্যমে হাতানো। শুরু হয়েছে গ্রেপ্তারিও। যেনতেন প্রকারেণ এই সাইবার অপরাধ রুখতে মরিয়া কেন্দ্র।
গত অক্টোবরের শেষ রবিবার ১১৫ তম ‘মন কি বাত’ রেডিও অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। বলেন, যেভাবে ডিজিটাল অ্যারেস্টের মাধ্যমে মানুষের কষ্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে তা বিপজ্জনক। তাঁর কথায়, ”প্রতারকরা ফোনে এমন পরিবেশ তৈরি করছে যে মানুষ ভয় পেয়ে যাচ্ছে। বলা হচ্ছে, এক্ষুনি এটা করো, নয়তো গ্রেপ্তার করা হবে। আসলে পুরোটাই প্রতারণা।” এই ধরনের ঘটনায় অযথা ভয় না পেয়ে মাথা ঠান্ডা রেখে এই ধরনের ফোনকল রেকর্ড করার পরামর্শ দেন মোদি। বলেন, কোনও সরকারি তদন্তকারী সংস্থা অনলাইনে কাউকে ধমক বা হুমকি দেয় না। এবং এমন ফোন এলে ন্যাশনাল সাইবার হেল্পলাইনে ফোন করার কথা বলেন। এর পর এই প্রতারণা রুখতে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে।