সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১০ লাখি স্যুট, ৪০ লাখি মাশরুম, দামি রোদচশমা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) নিয়ে বহুরকমের বহু জনশ্রুতি শোনা যায়। বলা হয়, মুখে নিজেকে ‘ফকির’ বলে দাবি করলেও আসলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন। সেটা অনেকাংশে সত্যিও। তবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের দাবি, মোদির এই বিলাসবহুল জীবনের খরচ অনেকাংশে সরকারকে বহন করতে হয় না। নিজের পকেট থেকেই খরচ চালান তিনি। এমনকী খাবারের খরচ পর্যন্ত মোদি নিজে মেটান।
এক আরটিআইয়ের (RTI) জবাবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সচিব বিনোদ বিহারী সিং জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির খাওয়ার খরচ বাবদ একটা টাকাও খরচ হয় না সরকারের। এমনিতে প্রত্যেক প্রধানমন্ত্রীর জীবনযাত্রার জন্য একটা নির্দিষ্ট বাজেট থাকে সরকারের। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের (PMO) ওই সচিবের দাবি, মোদি নিজের খাবারের দাম সরকারের থেকে নেন না। তিনি নিজের জীবনযাত্রার খরচ নিজের রোজগারের খরচ থেকেই চালান।
[আরও পড়ুন: বিধায়কদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জের? নিরাপত্তা কমল রাজ্যের প্রতিমন্ত্রীর]
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে আরও জানানো হয়েছে, জীবনযাত্রার খরচ মোদি না নিলেও তাঁর সরকারি বাসভবনের রক্ষণাবেক্ষণের খরচ, এবং যাতায়াত ও নিরাপত্তার খরচ সবটাই সরকার করে। প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি পূর্ত দপ্তরের অধীনে পড়ে। তাই পূর্ত দপ্তরই প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের রক্ষণাবেক্ষণের খরচ মেটান। আর প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা এবং যাতায়াতের গাড়ির দায়িত্ব SPG-র। সেটাও সরকারি খরচে হয়। তবে নিয়মের দোহাই দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেতনের পরিমাণ প্রকাশ্যে আনেনি তাঁর দপ্তর।
[আরও পড়ুন: ২ ঘণ্টা তল্লাশির পর বাড়ি থেকে ‘আটক’ অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়]
২০১৭ সালে গুজরাটের বিধানসভা (Gujarat Assembly) নির্বাচনের আগে আগে তৎকালীন কংগ্রেস নেতা অল্পেশ ঠাকোর দাবি করেছিলেন, বিদেশ থেকে বিশেষ প্রজাতির মাশরুম আমদানি করিয়ে সেটা খান মোদি। যার দাম একেকটার ৪০ লক্ষ টাকা। অপ্লেশের সেই দাবির সত্যতা কতটা, সেটা জানা অসম্ভব। তবে, মাশরুম প্রধানমন্ত্রী পছন্দ করেন বলেই শোনা যায়। সে যাই হোক, প্রধানমন্ত্রীর খাবারের খরচ অন্তত সাধারণ মানুষের করের টাকা থেকে যায় না।