সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা বধে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে ভারত। টিকা হাতিয়ার করে যুদ্ধজয় সময়ের অপেক্ষা মাত্র। কয়েকদিন আগেই ভ্যাকসিন ভারতে বাজারজাত করতে অনুমতি চেয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট (Serum Institute)। এহেন সময়ে ‘মিথ্যা’ মামলা মোকদ্দমা থেকে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন সেরাম কর্তা আদর পুনাওয়ালা (Adar Poonawalla)।
[আরও পড়ুন: ভারতের প্রতি বিশ্ববাসীর অনীহা বদলে গিয়েছে আগ্রহে, দাবি প্রধানমন্ত্রীর]
টিকা তৈরির ক্ষেত্রে আসা আইনি জটিলতা ও মানুষের ভ্যাকসিন সংক্রান্ত ভ্রান্ত ধারণা ও ভয়ের কথা উল্লেখ করে পুনাওয়ালার বক্তব্য, এই মুহূর্তে দেশ ভয়ংকর স্বাস্থ্য সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি মরিয়া হয়ে ভ্যাকসিন নিয়ে আসার প্রাণপণ চেষ্টা করছে। কিন্তু এহেন সংকট কালেও এক শ্রেণির লোক মিথ্যা অভিযোগ তুলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। কোনও নির্দিষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়াই মামলা ঠুকে দেওয়া হচ্ছে। ভ্যাকসিনে জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে বলে মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে। বেশিরভাগ ওষুধ নির্মাতা সংস্থাগুলিই এহেন অপপ্রচারের শিকার। অথচ, ভ্যাকসিন কোম্পানিগুলি সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখে তবেই টিকার ট্রায়ালে সবুজ সংকেত দেয়। প্রাণহানির সামান্যতম আশঙ্কা থাকলে কখনওই টিকা সামনে আনা হত না। কিন্তু অপপ্রচারের ফলে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। এইসব যাতে বন্ধ হয় সেই ব্যবস্থা করুক কেন্দ্র সরকার। কারণ, মিথ্যা মামলার জালে জড়িয়ে পড়লে ভ্যাকসিন বণ্টনে অযথা দেরি হবে। এক্ষেত্রে আমেরিকার মহামারী সংক্রান্ত একটি আইনের কথা বলেন সেরাম কর্তা। ওই আইনে মহামারীর সময় ভ্যাকসিন কোম্পানিগুলিকে সরকারের তরফে মামলা থেকে সুরক্ষা দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ফর্মুলায় ভারতে কোভিশিল্ড টিকা বানিয়েছে সেরাম। এই টিকার ট্রায়ালেও জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অভিযোগ করেন এক স্বেচ্ছাসেবক। ওই ব্যক্তির দাবি, সেরামের টিকা নিয়ে স্নায়ুর জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। তারপরই সেরাম ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকার মামলা করেন ওই স্বেচ্ছাসেবকের আইনজীবী। পালটা অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে ১০০ কোটি টাকার মোকদ্দমা ঠুকে দেয় সেরামও। সব মিলিয়ে বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। টিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে ভীতি দেখা দেয় সাধারণ মানুষের মনে।