সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে সবেচেয়ে বেশি যে দুটি কোভিড ১৯ (COVID) টিকা ব্যবহার হয়েছে তার একটি সেরাম ইনস্টিটিউটের (Serum Institute of India) কোভিশিল্ড। এবার সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি সার্ভিকাল ক্যান্সার (Cervical Cancer) বা জরায়ুর ক্যান্সারের জন্য তৈরি টিকাকে অনুমোদন দিল ডিসিজিআই (DCGI)। বুধবার এই অনুমোদন পেয়েছে পুনের সংস্থাটি। সফল ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পরেই মিলেছে সরকারি ছাড়পত্র। জরায়ুর ক্যান্সারের জন্য সেরামের তৈরি টিকার নাম ‘কোয়াড্রিভালেন্ট হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস ভ্যাকসিন’, সংক্ষেপে কিউএইচপিভি (QUHPV)। জানা গিয়েছে, আপাতত ৯ থেকে ২৬ বছর বয়সী জরায়ুর রোগীদের ক্ষেত্রে এই টিকা প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে ডিসিজিআই।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, কিউএইচপিভি সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি জরায়ুর ক্যানসারের ভ্যাকসিন। এটি পুরুষ, মহিলা, ততীয় লিঙ্গ সকলের জন্য সুরক্ষিত ভ্যাকসিন। উল্লেখ্য, জরায়ুর ক্যানসারের অন্যতম কারণ হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (HPV)। যা আসলে যৌন সংসর্গের ফলে সংক্রমিত হয় এক দেহ থেকে অন্য দেহে। এক্ষেত্রেই কাজে দেবে নয়া ভ্যাকসিন, এমনটাই দাবি টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা সেরামের।
[আরও পড়ুন: টানা ৩০ ঘণ্টা জেরায় ক্লান্ত রাহুল! নিজেই ইডির কাছে চাইলেন ‘বিরতি’]
যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, এইচপিভি কেবলমাত্র জরায়ুর ক্যানসারের কারণ নয়, এছাড়াও যোনি, লিঙ্গ, মলদ্বার, মুখের পিছনের অংশ এমনকী গলার উপরের অংশেও ক্যানসারেরও কারণ হতে পারে এই ভাইরাস। এই কারণে ভ্যাকসিন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে সেরামের দাবি, তাদের তৈরি এইপিভি ভ্যাকসিনের চতুর্মুখী কার্যকারিতা রয়েছে। যেহেতু চারিটি ভিন্ন ধরনের অ্যান্টিজন রয়েছে এই ভ্যাকসিনে। যা চার রকম ভাইরাসের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়বে। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উদ্দীপিত করবে।কেউ যদি এই টিকা নেন তবে তাঁর জরায়ুর ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যাবে।
[আরও পড়ুন: মধ্যবিত্তের মাথায় হাত, বৃহস্পতিবার থেকে রান্নার গ্যাসের নতুন সংযোগেও বাড়তি খরচ]
ভারতে বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত রোগী রয়েছে। আক্রান্তের হিসেবে দ্বিতীয় সারিতে রয়েছে জরায়ুর ক্যানসার। সাধারণত ১৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সী মহিলাদের এই ক্যনসার হয়ে থাকে। ডিসিজিএ কর্তা প্রকাশ কুমার সিং বুধবার বলেন, গত ৮ জুনে কিউএইচপিভি-র ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পূর্ণ হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই এই টিকা ভারতের বাজারে পাওয়া যাবে। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমরা।