স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি : ২০১৮ থেকে ২০২০, এই তিন বছরে আর্থিক অসঙ্গতির কারণে ২৫ হাজারের বেশি ভারতীয় আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার সংসদে সরকারিভাবে এই তথ্য প্রকাশ করল কেন্দ্র। তার পর থেকেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ছে কেন্দ্রের মোদি সরকার।
গত কয়েক বছর ধরেই ভারতীয় অর্থনীতি চলেছে রিভার্স গিয়ারে। বেকারত্বের জ্বালা ও ঋণের নাগপাশে জর্জরিত দেশবাসী। সাম্প্রতিক অতীতে বারবার এই অভিযোগ করে এসেছেন বিরোধী নেতারা। এবার সেই দাবিতে সিলমোহর দিতে বাধ্য হল কেন্দ্র। সর্বকালীন রেকর্ড গড়েছে বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতির জেরে নাজেহাল দেশবাসী। সঙ্গে রয়েছে দেউলিয়া ও ঋণের বোঝা। সব মিলিয়ে অর্থনৈতিক দুরবস্থার সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ২৫ হাজার ২৫১ জন। যার মধ্যে সর্বোচ্চ কোভিড বর্ষ অর্থাৎ ২০২০ সালে।
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপিকে ভোট না দিলে কাশ্মীর-বাংলার মতো হবে উত্তরপ্রদেশ’, ভোটের দিনই বিতর্কিত মন্তব্য যোগীর]
২০২০ সালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ৮ হাজার ৭৬১ জন আত্মহত্যা করেছেন। এঁদের মধ্যে তিন হাজার ৫৪৮ জনের এই চরম সিদ্ধান্তের নেওয়ার কারণ চাকরি হারানো। এদিন সংসদে এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে এই তথ্যগুলি প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। যেখানে দেখা যাচ্ছে বেকারত্বের কারণে ২০১৮ থেকে ২০২০ সালে আত্মহত্যা করেছেন যথাক্রমে ২৭৪১, ২৮৫১ ও ৩৫৪৮ জন। দেউলিয়া হয়ে অথবা ঋণের বোঝায় চাপা পড়ে আত্মাহুতি দিয়েছেন ৪৯৭০, ৫৯০৮ ও ৫২১৩ জন।
আত্মপক্ষ সমর্থনে অবশ্য অন্যান্য কিছু ব্যাখ্যাও দিয়েছে অমিত শাহর মন্ত্রক। আত্মহত্যার মতো মানসিক রোগ থেকে দেশবাসীকে মুক্তি দিতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেই কথা বলা হয়। একইসঙ্গে জনগণকে আয়ের পথ দেখাতে পাঁচটি প্রকল্পের উল্লেখও করা হয়। কিন্তু সেই প্রকল্পের সমস্ত সুবিধা যে দেশের আমজনতার কাছে সম্পূর্ণভাবে পৌঁছয়নি তা এই আত্মহত্যার পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট।