সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের একবার বিপাকে দেশের অন্যতম বৃহৎ দুই ই–কমার্স সংস্থা অ্যামাজন এবং ফ্লিপকার্ট। FDI এবং FEMA সংক্রান্ত আইন ভাঙায় অ্যামাজন–ফ্লিপকার্টের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে ইডি এবং রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়াকে নির্দেশ দিল কেন্দ্র।
সম্প্রতি এই দুই ই–কমার্স সংস্থার বিরুদ্ধে FDI নীতি এবং ১৯৯৯ সালের ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট আইন (Foreign Exchange Management Act) লঙ্ঘন করার অভিযোগ তুলেছিল কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স বা CAIT। তাদের সেই অভিযোগের পরেই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র। এরপরই ইডি এবং RBI’কে নির্দেশ দিয়েছে মোদি সরকার।
[আরও পড়ুন: নতুন বছরে জিও গ্রাহকদের জন্য সুখবর, যে কোনও নেটওয়ার্কে মিলবে আনলিমিটেড ফ্রি কল]
এই প্রসঙ্গে সিএআইটি’র জাতীয় সভাপতি বি.সি. ভারতিয়া এবং মহাসচিব প্রবীণ খাণ্ডেলওয়াল জানিয়েছেন, সম্প্রতি অ্যামাজন ও ফ্লিপকার্টের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের কাছে সিএআইটি চারদফা অভিযোগ জানিয়েছিল। তারপরই কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ Department of Promotion of Industries and Internal Trade বা DPIIT দপ্তর চলতি মাসে চিঠি দিয়ে ইডি ও রিজার্ভ ব্যাংককে অ্যামাজন ও ফ্লিপকার্টের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ইডি ও আরবিআইকে যে নির্দেশ DPIIT পাঠিয়েছে, তার সঙ্গে তারা সিএআইটি-র করা চারটি অভিযোগপত্রও পাঠিয়েছে। এই অভিযোগগুলির মধ্যে রয়েছে, ফ্লিপকার্ট ও আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠীর মধ্যে চুক্তির সময় এফডিআই নীতি লঙ্ঘন, বিভিন্ন ই-কমার্স সংস্থাকে যে এফডিআই নীতি মেনে চলতে হয় তার নিয়ম লঙ্ঘন। এছাড়াও অ্যামাজনের বিরুদ্ধে ফেমা ও তার বিধিগুলির লঙ্ঘন এবং অ্যামাজন–ফ্লিপকার্ট, দুই সংস্থার বিরুদ্ধে ফেমা ও এফডিআই নীতির লঙ্ঘনের অভিযোগও।
এদিকে, কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স জানিয়েছে, দেশের সমস্ত দোকানদার ২০২১ সালটিকে ‘ভারতীয় ব্যাপার সম্মান বর্ষ’ (Bhartiya Vyapaar Samman Varsh) হিসাবে পালন করবেন। ভারতে ই–কমার্স ক্ষেত্রে দুর্নীতি রোধ করতেই এই উদ্যোগ। পাশাপাশি, এর মাধ্যমে দেশের দোকানদারদের ডিজিটাল কমার্স ও ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করতেও উৎসাহিত করবে সিএআইটি।
