সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাণিজ্য ক্ষেত্রে লাল ফিতের ফাঁস নিয়ে অভিযোগ করেন বহু ব্যবসায়ী। বহু ক্ষেত্রে সহজ বিষয়ও জটিল আকার ধারণ করে। এতে লাভ হয় না রাষ্ট্রের, ব্যবসায়ীরও। এই অবস্থায় লাল ফিতের জটিলতা কমাতে ফের সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ হ্রাসে বিশেষ কমিটি তৈরি হচ্ছে বলেও জানালেন তিনি। মোদি বলেন, "বহু ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে সরকারি নিয়ন্ত্রণ শিথিল হয়েছে। 'জন বিশ্বাস ২.০'-র মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের উৎসাহ দিতে বাণিজ্য ক্ষেত্রকে আরও সহজ করা হবে।"
একটি অনুষ্ঠানে যোদি দিয়ে মোদি বলেন, "সমাজে সরকারের হস্তক্ষেপ কমা উচিত বলেই আমার দৃঢ় বিশ্বাস। এর জন্য সরকার একটি নিয়ন্ত্রণ কমিশনও গঠন করতে চলেছে।" তিনি বলেন, "এনডিএ সরকার তার নীতির মাধ্যমে 'ব্যবসার ভীতি'কে 'ব্যবসা করার সুবিধা'য় বদলে দিতে সক্ষম হয়েছে। বিকশিত ভারতে বেসরকারি সংস্থাগুলির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।" আরও বলেন, সরকার বিনিয়োগের জন্য পারমাণবিক শক্তি, মহাকাশ, বাণিজ্যিক খনি এবং বিদ্যুৎ বিতরণ-সহ অনেক নতুন ক্ষেত্র তৈরি করছে। আত্মবিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, চতুর্থ বাণিজ্য বিপ্লবে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে।
মোদি বলেন, "গোটা বিশ্বের বহু মানুষের কাছে সম্পত্তির আইনি নথি নেই। সম্পত্তির অধিকার দারিদ্র কমায়। যদিও বিগত সরকার এই বিষয়ে নজর দেয়নি। এভাবে দেশ গঠন করা যায় না। এই কারণেই 'স্বামীত্ব যোজনা' এনেছি আমরা। 'স্বামীত্ব'কে ধন্যবাদ। গ্রামীণ ভারতে ১০০ লক্ষ কোটির সম্পত্তি মালিকানা বিতরণ হয়েছে।" যোগ করেন, ড্রোনের ব্যবহার ৩ লক্ষ গ্রামের জমি সমীক্ষা হয়েছে। এর পরে ২.২৫ লক্ষ গ্রামবাসীকে সম্পত্তি কার্ড দেওয়া হয়েছে।" প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, "বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ভাবেনি ইউপিএ সরকার।"
মোদি বলেন, "আমরা মানুষের প্রয়োজনকে চিহ্নিত করি। সেই কারণেই ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র থেকে বেরিয়ে এসেছে। এর ফলে নয়া মধ্যবিত্ত শ্রেণি তৈরি হয়েছে দেশে।" সাম্প্রতিক বাজেট প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে সুবিধা দিতেই চলতি বাজেটে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়করে ছাড় দিয়েছে সরকার। আজকের সাফল্য়ের পিছন রয়েছে সংবেদেনশীল রাষ্ট্র তথা প্রশাসনের নীতি। যেখানে ক্রমশ আলগা হবে লাল ফিতের ফাঁস।
