সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্ব ক্ষুধা দূর করতে বাজরার গুণ কতটা, তা প্রচার করতেই বিশেষ গান ‘অ্যাবানডেন্স ইন মিলেটস’ (Abundance in Millets)। যে গানের নেপথ্যের কারিগর স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি। গ্র্যামি পুরস্কার জয়ী ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান গায়িকা ফালু ওরফে ফাল্গুনী ও গায়ক গৌরব শাহর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগেই এই গান তৈরি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। গত নভেম্বর মাসেই সেই গান গ্র্যামি পুরস্কারে মনোনীত হয়েছিল। শেষমেশ মোদির ‘অ্যাবানডেন্স ইন মিলেটস’ কি গ্র্যামি জয় করতে পারল না।
৬৬তম গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের (Grammy Award) মঞ্চে ভারতের বড় জয় হলেও প্রধানমন্ত্রীর এই মিলেট গান কিন্তু ছিটকে গিয়েছে। তাঁকে হারিয়ে গ্র্যামি পুরস্কার জিতে নিয়েছেন কিংবদন্তী শিল্পী জাকির হুসেন। সোমবার সকালে লস অ্যাঞ্জেলসে ভারতীয় শিল্পীদের জয়জয়কার হলেও ‘অ্যাবানডেন্স ইন মিলেটস’-এর ঝুলিতে আসেনি পুরস্কার। বরং তবলাবাদক জাকির হুসেনের ‘পসতো’ বেস্ট গ্লোবাল মিউজিক পারফরম্যান্স-এর জন্য গ্র্যামি জিতে নিয়েছে। এই গানে জাকিরের সঙ্গে করেছেন সঙ্গত রাকেশ চৌরাসিয়া, বেলা ফ্লেক, এডগার মেয়ারের মতো শিল্পীরা। গ্র্যামি দৌড়ে গিয়েও হেরে গেল প্রধানমন্ত্রীর ‘অ্যাবানডেন্স ইন মিলেটস’। এই গানের ভিডিওতেও দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে।
[আরও পড়ুন: গ্র্যামির মঞ্চে বড় জয় ভারতের, পুরস্কৃত শঙ্কর মহাদেবন, জাকির হুসেনের ‘শক্তি’]
গ্র্যামি পুরস্কার জয়ী গায়িকা ফালু এক সাক্ষাৎকারে এর আগে জানিয়েছিলেন, বাজরা নিয়ে গান লেখার কথা তাঁর তখন মাথায় আসে যখন তিনি গ্র্যামি জেতার পর দেখা করেন নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে নয়াদিল্লিতে। তখনই মোদি সমাজ পরিবর্তন ও মানবতার উন্নতির জন্য সঙ্গীতের অবদান নিয়ে কথা প্রসঙ্গে তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন ক্ষুধা দূর করতে বাজরার ভূমিকা নিয়ে গানটি লেখার জন্য। ফালুর কথা, মোদি তখন জানিয়েছিলেন, ভারত বাজরাকে প্রচার করতে চায়, কারণ এর পুষ্টিগুণ প্রচুর।