সুমন করাতি, হুগলি: হুগলির গুপ্তিপাড়ার শিশু মৃত্যু নেপথ্যে মায়ের সঙ্গে ঠাকুমা-ঠাকুরদার তিক্ত সম্পর্ক? ক্রমশ বাড়ছে জটিলতা। যে শৌচাগারে শিশুর দেহ পাওয়া গিয়েছে, রবিবার সকালেও নাকি সেটি ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে কখন দেহ আনা হল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। টানা জেরার পর মৃতের ঠাকুরদাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, শিশুর মায়ের সঙ্গে তাঁর শাশুড়ি এবং জায়ের সম্পর্ক ভালো ছিল না। এমনকী মৃত স্বর্ণাভও খুব একটা ঠাকুমার কাছেও যেত না। মা বাড়িতে না থাকলে প্রতিবেশী মাধবী ঘোষের বাড়িতেই বেশিরভাগ সময় থাকত সে। স্বর্ণাভর মা সুপ্রিয়া সাহা জানান, তাঁর শ্বশুরও মাঝেমধ্যেই তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতেন। ব্যক্তিগত কারণেই নাকি সম্পর্কের এই অবনতি। স্বামী কর্মসূত্রে বাইরে থাকলে শ্বশুর- শাশুড়ির অত্যাচার বাড়ত বলেই অভিযোগ তাঁর। তবে কি সেই অশান্তির কারণেই অর্থাৎ সুপ্রিয়ার উপর প্রতিশোধ নিতেই স্বর্ণাভকে খুন? তা ভাবাচ্ছে পুলিশকে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, ঠাকুরদার হাতেই খুন হয়েছে খুদে। দেহ অন্যত্র ফেলার পরিকল্পনাও করেছিলেন বৃদ্ধ। কিন্তু পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে পারেননি।
উল্লেখ্য, শনিবার সকালবেলায় বাড়ির উঠোন থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় স্বর্ণাভ। রবিবার ভোরে বাড়ির শৌচালয় থেকে শিশুর নিথর দেহ উদ্ধার হয়। তবে যে বাথরুম থেকে স্বর্ণাভর দেহ উদ্ধার হয়েছে তা ব্যবহার হয়েছিল রবিবার ভোরেও। কিন্তু সেই সময় সেখানে কিছু ছিল না বলে দাবি করেছেন শিশুর মাসি দীপিকা বিশ্বাস। ফলে পরে কীভাবে সেখানে শিশুটির দেহ এল? দিনের আলোয় দেহ আনা হলে কেন কারও চোখে পড়ল না, এহেন একাধিক প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টায় পুলিশ।