সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটি অমানবিক ঘটনার মানবিক সমাপতন! শীতের রাতে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) নয়ডার (Greater Noida) রাস্তায় পড়েছিল দুধের শিশু। খিদে ও ঠান্ডায় কষ্ট পেয়ে কান্না জুড়ে দিয়েছিল সে। স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে পরিত্যক্ত শিশুটিকে উদ্ধার করে। এরপর মানবিক মোড় নেয় ঘটনা। স্থানীয় থানার পুলিশ আধিকারিকের স্ত্রী সাময়িক ভাবে দায়িত্ব নেন শিশুটির। বুকের দুধ খাওয়ান তাকে। পরে হাসপাতালে ভরতি করা হয় খুদেকে। বর্তমানে শিশুটির অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনাটি গত ২০ ডিসেম্বরের। নয়ডার নলেজ পার্ক এলাকা থেকে উদ্ধার হয় শিশুটি। তীব্র শীতের মধ্যে দীর্ঘ সময় খোলা জায়গায় পড়ে থাকায় গুরুতর অসুস্থ ছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। দুধের শিশুটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় থানায় নিয়ে আসে। সেই সময় ঠান্ডা লাগায় ও খিদেতে প্রচন্ড কাদছিল শিশুটি। তখনই মায়ের ভূমিকা নেন ওই থানার এসএইচও-র স্ত্রী জ্যোতি সিং। তিনি খুদেকে সুস্থ করে তুলতে বুকের দুধ খাওয়ান। এরপর শিশুটি কিছুটা থাতস্থ হলে তাকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। তাকে বর্তমানে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। যদিও অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।
[আরও পড়ুন: দিল্লিতে ভারত জোড়ো যাত্রায় শামিল সোনিয়া গান্ধীও, রাহুলকে শিবমূর্তি উপহার মুসলিম মহিলার]
এভাবে দুধের শিশুকে রাস্তায় ফেলে যাওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন এসএইচও-র স্ত্রী জ্যোতি। তিনি বলেন, “ভাবতে পারছি না, এতটুকু শিশুর সঙ্গে কী করে কেউ এমন কাজ করতে পারে! তীব্র কষ্টে খুদের কান্না সহ্য করতে পারছিলাম না। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে পারিনি ওই দৃশ্য। তাই বুকের দুধ খাওয়াই।” জ্যোতি আরও বলেন, “বার্তা দিতে চাই অভিভাবকদের। সংসারে শিশুকে নিয়ে তেমন সমস্যা হলে তাদের অনাথ আশ্রমে অথবা এনজিও-তে দিন। যেখানে তারা আশ্রয়টুকু পাবে। এভাবে ফেলে দেওয়া নিন্দনীয় কাজ।”
[আরও পড়ুন: ফের কোভিড নিয়ন্ত্রণে কতটা প্রস্তুত? দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে দেখবে কেন্দ্রের প্রতিনিধিদল]
বৃহত্তর নয়ডা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটির অবস্থা স্থীতিশীল হলেও শারীরিক অবস্থার উপর নজর রাখতেই ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে খোঁজ চলছে তার পরিবারের। তবে এখনও পর্যন্ত শিশুটির জন্য কেউ দাবি জানায়নি।