অর্ণব আইচ: করোনার টিকা রাখার জন্য জায়গার প্রয়োজন ছিল। সেই কারণেই বাগবাজারের সেন্ট্রাল স্টোর পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। আর তা করতে গিয়েই আবাক কাণ্ড। পেটি থেকে উদ্ধার পুরনো গ্রেনেডের খোল। কতটা পুরনো? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (World War II) সময়ের হতেই পারে, এমনই মনে করছেন লালবাজারের এক পুলিশকর্তা।
মঙ্গলবার বিকেলে এই গ্রেনেডগুলি উদ্ধার হয়। তাতেই উত্তর কলকাতার বাগবাজারের রবীন্দ্র সরণির সেন্ট্রাল ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার স্টোরের আশেপাশের এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। স্টোর পরিষ্কার করার কাজ চলছিল। তখনই একটি পেটি থেকে উদ্ধার হয় ওই গ্রেনেডের খোলগুলি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় শ্যামপুকুর থানার পুলিশ। গ্রেনেডের খোলগুলি উদ্ধার করা হয়। শুধু খোলগুলিই স্টোরে রাখা ছিল। তাতে কোনও বিস্ফোরক জাতীয় পদার্থ ছিল না বলেই জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশ কর্মীদের মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা লালবাজারের, নিয়ম ভাঙলে কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারি]
প্রথমে মনে করা হয়েছিল এ কোনও দুষ্কৃতীর কাজ হতে পারে। কিন্তু পরে পুলিশকর্তারা দেখেন খোলগুলি বেশ পুরোনো। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৯৫৩ সালের আগে এই বাড়িটি সিভিল ডিফেন্সের গোডাউন ছিল। কিন্তু তারপর দীর্ঘদিন বন্ধ রাখা হয়। ২০২০ সালে যখন করোনার (Coronavirus) প্রকোপ শুরু হয়। সেই পরিস্থিতিতে এই গোডাউনটি সেন্ট্রাল স্টোর হিসেবে তৈরি করা হয়। এখানেই কোভিডের (COVID-19) টিকা রাখা শুরু হয়।
মাঝে স্টোরটি বন্ধ করে দিয়েছিল স্বাস্থ্য দপ্তর। ফের এই স্টোরে টিকা রাখার পরিকল্পনা করা হয় বলে পুলিশের কাছে খবর। গত কয়েকদিন ধরেই বাড়িটি পরিষ্কার করার কাজ চলছে। এদিন তিনতলায় পরিষ্কার করার সময়ই কয়েকটি পেটি দেখেন কর্মীরা। তাঁরা সেগুলি খুলতেই বেরিয়ে পড়ে গ্রেনেডের খোল। তাঁরা বিস্ফোরক পদার্থ মনে করেই পুলিশকে খবর দেন। যদিও প্রাথমিক পরীক্ষার পর পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁদেরও আশ্বস্ত করা হয়। বস্তুগুলি বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।