সুব্রত বিশ্বাস: রেল পরিচালিত হাসপাতালগুলিতে (Rail Hospital) খাবারের মান নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে। অভিযোগ উঠছে, এক এক হাসপাতালে এক এক ধরনের খাবার দেওয়া হয়। বিশেষ করে বি আর সিং এবং হাওড়া অর্থোপেডিক হাসপাতালের রোগীদের উন্নত মানের খাবার দেওয়ায় খবর সামনে আসতেই ক্ষোভ আরও বেড়েছে। মেনস ইউনিয়ন ও মেনস কংগ্রেস উভয় সংগঠন রেলের স্বাস্থ্য বিভাগকে এনিয়ে সচেতন হতে অনুরোধ করেছে। সাফাই দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষও। হাসপাতালগুলির খাবারের মান নিয়ে রেলের অন্দরেই দানা বেঁধেছে ক্ষোভ।
বি আর সিং হাসপাতাল ও হাওড়া অর্থোপেডিক হাসপাতালের কোভিড রোগীদের উন্নত মানের খাবার দেওয়া হচ্ছে। এই তথ্য সামনে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে রেলের কর্মীদের মধ্যে। বিভিন্ন ডিভিশনের হাসপাতালগুলিতে খাবারের মানের তারতম্য থাকায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। পূর্ব রেলের কর্মী সংগঠনগুলি এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশও করেছে।
[আরও পড়ুন: চিকিৎসার খরচ আকাশছোঁয়া, কোভিড আক্রান্ত অভাবী ডাক্তারের পাশে মমতা]
পূর্ব রেলের প্রিন্সিপাল চিফ মেডিক্যাল ডিরেক্টর রুদ্রেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, “বি আর সিং ও অর্থোপেডিক হাসপাতালগুলিতে মূলত ডিভিশন থেকে রোগীরা স্থানান্তরিত হয়ে এখানে আসেন। ফলে বাড়ি থেকে দূরে হওয়ায় রোগীরা হাসপাতালের খাবারের উপর বেশি নির্ভর করে থাকেন। লিলুয়া, মালদহ, কাঁচরাপাড়া, আসানসোল প্রভৃতি রেল হাসপাতালগুলিতে ভরতি হওয়া রোগীরা বাড়ি থেকে আনা খাবার খান। ফলে চাহিদা না থাকায় খাবারের জোগান একেবারে নগন্য হওয়ায় মানের দিক থেকে একটু পিছিয়ে রয়েছে। তা অচিরেরই ঠিক করা হবে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, আসানসোল হাসপাতালে মানের সমতা আনা হয়েছে।
লিলুয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, করোনা পরিস্থিতিতে তারা নিজেদের রন্ধনশালায় একেবারে কোভিডবিধি মেনে খাবার তৈরি করছে, মানের দিক থেকেও ভাল খাবার পরিবেশন করছেন। পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ অভিযোগের সুরে বলেন, “ডিভিশনের হাসপাতালগুলিতে ঠিকা সংস্থার খাবার দেওয়ায় মান একেবারে তলানিতে পড়ে রয়েছে। রোগীরা ওই খেতে না পারায় বাধ্য হয়ে বাড়ির থেকে আনা খাবার খান।” মেনস কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিনোদ শর্মাও বলেন, “খাবারের মানের দিকে নজর রাখতে বলব আমারা। কারণ রোগীরা খাবার খেলে তা বেতন থেকে টাকা কাটা হয়। ফলে মান বজায় রাখতে হবে।”