শুভঙ্কর বসু: এসএসসি-র গ্রুপ ডি’র (Group D) বেআইনি নিয়োগ বাতিলকে চ্যালেঞ্জ করে এবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল বিশেষ অনুসন্ধান কমিটি। কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার জরুরি ভিত্তিতে শুনানি হওয়ার কথা সোমবার। বিশেষ অনুসন্ধান কমিটির একটি প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টও দেওয়ার কথা ওইদিন। গত ৯ তারিখ হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ ৫৭৩ জন কর্মীর নিয়োগ বাতিল করে দেয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই ডিভিশন বেঞ্চে গেল অনুসন্ধান কমিটি।
গত ৯ তারিখ, এসএসসি চতুর্থ শ্রেণির (SSC Group D) কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। চতুর্থ শ্রেণির ৫৭৩ জন কর্মীর নিয়োগ বাতিল করে আদালত। এমনকী, তাঁদের নিয়োগের জন্য সরকারের যত টাকা খরচ হয়েছে, সেই টাকা এবং তাঁদের দেওয়ার বেতনের অর্থ পুনরুদ্ধার করতে হবে।
[আরও পড়ুন: জল্পনাই সত্যি, তৃণমূলে যোগ দিলেন অর্জুনের আত্মীয় সুনীল সিং ও সৌরভ সিং]
প্রসঙ্গত, এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিষয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। যদিও সেই নির্দেশকে চ্যালঞ্জ করে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল এসএসসি কর্তৃপক্ষ, মধ্যশিক্ষাপর্ষদ এবং রাজ্য সরকার। ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বে কমিটি গড়ে তদন্তের নির্দেশ দেয়। ৭ ফেব্রুয়ারি কমিটির রিপোর্ট জমা দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত শেষ হয়নি জানিয়ে কমিটি আরও ৪ মাস সময় চায়। আদালত ৪ মাস নয়, ২ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেয়। কিন্তু তার মাঝেই ৫৭৩ জনের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর হলেন অরূপ-কুণাল-চন্দ্রিমা]
সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বাধীন কমিটি ডিভিশন বেঞ্চে যায়। তাদের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেন সিঙ্গল বেঞ্চ রায় ঘোষণা করল, সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে কমিটির তরফে। জরুরি ভিত্তিতে সোমবার মামলার শুনানির আরজি জানায় কমিটি। তাদের আরজিকে মান্যতা দিয়ে সোমবার শুনানি হবে। এইদিন একটি প্রাথমিক রিপোর্টও জমা দেবে অনুসন্ধান কমিটি।