সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুুন করে ‘জিএসটি’ ধাক্কা আমজনতার। সোমবার অর্থাৎ ১৮ জুলাই থেকে বেশিরভাগ প্যাকেটজাত খাদ্যদ্রব্যের উপর বসল পণ্য ও পরিষেবা কর (GST)। যার ফলে লেবেলযুক্ত খাবারগুলির দাম বাড়বে। এতদিন যা করের আওতায় ছিল না। জিএসটি পরিষদের ৪৭ তম বৈঠকে নিত্যপ্রয়োজনীয় আরও কিছু জিনিসের উপর করের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে বিভিন্ন দুগ্ধজাত দ্রব্য-সহ রয়েছে চাল, পেন্সিল, চামচ, ছুরির মতো বেশ কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসও।
খুচরো জিনিসের থেকে যাঁরা প্যাকেটজাত দ্রব্য ব্যবহারে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন, তাঁদের মাসিক খরচ এবার বেশ কিছুটা বৃদ্ধি পাবে। চড়া করের আওতায় ঢুকছে হোটেলের হাজার টাকার কম দামি ঘর এবং ব্যাংকের চেকবইও। একদিকে জ্বালানির উত্তরোত্তর মূল্যবৃদ্ধি(Price hike) দুর্বিষহ করে তুলেছে সাধারণের জীবনযাপন। তারই মধ্যে জিএসটি বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত অবস্থার আরও অবনতি করেছে।
[আরও পড়ুন: ‘গণতন্ত্র বাঁচাতে আমাকে ভোট দিন’, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রাক্কালে আবেদন যশবন্ত সিনহার]
নতুন সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে, কোনও জিনিস গ্রাহকের সামনে যদি প্যাকেট করা হয় বা খুচরো বিক্রি করা হয় তাহলে তা করের আওতায় থাকছে না। শুধুমাত্র আগে প্যাকেটবন্দি(Pre-packaged) করা খাবারগুলির ক্ষেত্রেই লাগু হচ্ছে নতুন কর। জিএসটি স্কেল অনুযায়ী ৫, ১২ এবং ১৮ শতাংশ হারে বাড়ানো হচ্ছে কর। যার ফলে দাম বাড়বে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসের।
[আরও পড়ুন:বাদল অধিবেশনের শুরুতেই গণবিধ্বংসী অস্ত্র সংশোধনী বিল আনতে চলেছে সরকার]
দামবৃদ্ধি কোন কোন জিনিসের?
- ৫ শতাংশ জিএসটি লাগু: প্যাকেটবন্দি খাবার, দই, বাটার মিল্ক, পনির, বিভিন্ন গুড়, অপ্রক্রিয়াজাত চিনি, প্রাকৃতিক মধু, মুড়ি, চিড়ে, খই, মুড়কি, বার্লি, ওটস, চাল, গম, আটা, আইসিইউ বাদে হাসপাতালে দিনে পাঁচ হাজার টাকার বেশি ভাড়ার ঘরে।
- ১২ শতাংশ জিএসটি লাগু: সোলার হিটার, চর্মজাত দ্রব্য, যে কোনও ধরনের চার্ট বা ম্যাপ, হোটেলের হাজার টাকার কম দামি ঘর।
- ১৮ শতাংশ জিএসটি লাগু: চেকবই ও খুচরো পাতায়, লেখার ও ছাপার কালি, ব্লেড, ছুরি, ছবি আঁকার যন্ত্রপাতি, টেট্রা প্যাক, কৃষিজ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্র।
২০১৭ সালে কেন্দ্র সরকার জিএসটি (GST) চালু করেছিল দেশজুড়ে একক করকাঠামো তৈরি করতে। এর জেরে জিনিসের দাম কমবে বলেই দাবি করেছিল মোদী সরকার। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, তার উলটোটা। উত্তরোত্তর বেড়েছে জিনিসের দাম। বিশেষজ্ঞদের মতে রাজস্ব আদায়ের ঘাটতি মেটানো হচ্ছে জিএসটি বাড়িয়ে। তবে সেই পদ্ধতি এতটাই অযৌক্তিকভাবে করা হচ্ছে যে তা সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।