গোবিন্দ রায়: জিটিএ নির্বাচনে (GTA Election) হস্তক্ষেপ করল না আদালত। ভোট ও ফল ঘোষণায় কোনও বাধা নেই বলেই জানালেন হাই কোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। অর্থাৎ ২৬ তারিখই হবে নির্বাচন।
বিষয়টা ঠিক কী? জিটিএ নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের করেছিল জিএনএলএফ। তাঁরা দাবি করে, সংবিধান সংশোধন না করে এই নির্বাচন করা যাবে না। কারণ সংবিধান সংশোধন না করেই ২০১১ সালে জিটিএ তৈরি করা হয়েছিল। ফলত পুরনো ভোট প্রক্রিয়াকেই অবৈধ বলে দাবি করা হয়। এই মামলায় হাই কোর্টের তরফে বলা হয়েছিল, নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আদালতের হস্তভেপ উচিত নয়। শুক্রবার সেই মামলার রায়দান করল আদালত।
[আরও পড়ুন: গরু পাচার মামলা: দিল্লিতে ED দপ্তরে হাজিরা দেবের, টানা ৫ ঘণ্টা জেরা]
এদিন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য বলেন, “জিটিএ নির্বাচনে কোনও বাধা নেই। নির্ধারিত দিন অর্থাৎ ২৬ জুনই নির্বাচন হবে। ফলাফল ঘোষণার ক্ষেত্রেও কোনওরকম বাধা থাকছে না।” তবে সংবিধান সংশোধন নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, সেটা খতিয়ে দেখবে আদালত।
উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালে তৈরি হয়েছিল গোর্খা হিল কাউন্সিল। সংবিধানে বিষয়টা সংযোজন করা হয়েছিল। ২০১১ সালে রাজ্য সরকার তৈরি করে জিটিএ (গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন)। সংবিধান সংশোধন না করেই এটাই করা হয় বলে অভিযোগ। জিএনএলএফের দাবি ছিল, এভাবে নির্বাচন করা যায় না। এদিকে রাজ্যের দাবি ছিল, অন্যান্য প্রশাসনের মতোই জিটিএ নির্বাচনও রাজ্যের দায়িত্ব।