গোবিন্দ রায়: বই চুরি রহস্যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার সন্দেহ প্রকাশ করে রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। ২ বছর আগে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের স্কুল পরিদর্শকের অফিস থেকে চুরি হয়েছিল তিন কোটি টাকা মূল্যের পাঠ্যবই। ওই ঘটনায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে এনিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা সংসদকে রিপোর্ট দিতে বলেছে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
আদালতের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, নতুন করে তদন্ত শুরু হলে আরও দেরি হবে। দুজন অভিযুক্তই জামিন পেয়ে গিয়েছে। তাই আমরা (আদালত) পুলিশের কাছে রিপোর্ট চাইব। কারণ মাত্র দুজন এই চুরি করতে পারে না। এটা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র।"
জানা গিয়েছে, ২০২২ এর ডিসেম্বরে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের স্কুল পরিদর্শকের অফিস থেকে প্রায় দু’লক্ষ বই চুরি হয়। স্কুল পড়ুয়াদের জন্য ওইসব বই রাজ্য শিক্ষা দফতর থেকে জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিসে যায়। প্রাথমিক স্কুলগুলি সেই অফিস থেকে বই সংগ্রহ করে। তার পর তা বিনামূল্যে পড়ুয়াদের বিলি করা হয়। কিন্তু অভিযোগ, ঘটনার পর দু’বছর কেটে গেলেও তদন্ত প্রক্রিয়া এগোয়নি। এপর্যন্ত চুরির ঘটনার কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। তাই আদালতের নজরদারিতে নিরপেক্ষ তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের আবেদন করা হয়েছে আদালতে।
জানা গিয়েছে, তদন্তে নেমে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করলেও কয়েক দিন পরই তাঁরা জামিনে মুক্তি পান। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিশ যাঁদের গ্রেপ্তার করেছিল, তাঁরা কেউই মূল অভিযুক্ত নন। আসল অপরাধীকে আড়াল করতেই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সিবিআই বা সিআইডির মতো কোনও নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে ঘটনার তদন্তের আবেদন করেন গ্রামবাসীরা।