shono
Advertisement

পাহাড়ে পর্যটনের নয়া ঠিকানার সন্ধান, দুর্গম পথে যোগাযোগ বাড়াতে উদ্যোগী জিটিএ

দেড় কোটি টাকা খরচে তৈরি হবে দেড় কিলোমিটার রাস্তা৷ The post পাহাড়ে পর্যটনের নয়া ঠিকানার সন্ধান, দুর্গম পথে যোগাযোগ বাড়াতে উদ্যোগী জিটিএ appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 03:52 PM Aug 27, 2018Updated: 04:22 PM Aug 27, 2018

সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: ব্রিটিশ আমলের টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ পৌঁছে যেত পাহাড়ে৷ বর্তমানে সেই টারবাইনের কদর কমেছে৷ দার্জিলিংয়ের প্রায় অন্তরালে থাকা সৌন্দর্যের ঘেরাটোপে সিদ্রাপং টারবাইন এলাকা তেমনভাবে সামনে আসেনি কখনওই৷ দীর্ঘ সময় পর্যন্ত অন্তরালে থাকা এই টারবাইন এলাকাকে এখন পর্যটকদের সামনে তুলে ধরতে উদ্যোগ নিল জিটিএ৷ পাহাড়ের নয়া পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে টারবাইন এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত করা হচ্ছে৷ প্রায় দেড় কোটি টাকা লগ্নি করে পাহাড়ের স্বয়ংশাসিত বোর্ড এলাকার দুর্গমতাকে অতিক্রম করতে চাইছে৷ এই উদ্যোগ শুরু হতেই ওই এলাকাটিকে পর্যটন মানচিত্রে আনতে নড়েচড়ে বসেছেন পর্যটন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

[এবার ভিডিও কলে কলেজ ছাত্রীকে মোমো চ্যালেঞ্জ খেলার আহ্বান!]

জিটিএ বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনয় তামাং গত ১৮ আগস্ট রাস্তা তৈরির জন্য  ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ডালি এলাকার খানিকটা নিচে অরেঞ্জ ভ্যালি চা বাগানের মধ্যে দিয়ে এই পথ অতিথিদের মন ভাল করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। অরেঞ্জ ভ্যালি থেকে ব্লুমফিল্ড ফ্রেডরিক চা বাগান পর্যন্ত এই দেড় কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হলে থমকে থাকা যোগাযোগ অনেকটাই চাঙ্গা হয়ে উঠবে। তবে এই এলাকায় পাহাড়ের ঢালে চড়াই উতরাই খুব বেশি। দুর্গম এই পথ তৈরি করতে কয়েক বছর সময় লাগার কথা। আগেও এই রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু মাঝে পাহাড়ে অশান্তির কারণে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে প্রচুর টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়৷ ক্ষতি হয়েছে কাজেরও। বিনয় তামাং বলেন, “এই রাস্তা তৈরি হলে সিদ্রাপং যেতে অনেক সময় কম লাগবে, খরচও কমবে। ফলে আকর্ষণ বৃদ্ধি পাবে৷’’

[শ্বশুরবাড়ি আসেন না জামাইরা, নিজের খরচে শৌচাগার তৈরি করলেন বৃদ্ধা]

সিদ্রাপং এশিয়ার দ্বিতীয় এবং ভারতের প্রথম জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। এখানকার বারাবতী নদীতে ইংরেজ আমলে লাগানো টারবাইন ঘুরিয়ে এখনও বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। পাহাড়ের উচ্চতায় তীব্র বাতাস আর নিশ্চুপ নীরবতা ভেঙে মাঝে মধ্যে মন্দিরের ঘণ্টার আওয়াজ, আর মাঝে মধ্যে গাড়ি চলে যাওয়ার শব্দ। নীরবতাকে আরও গভীর করেছে। এ দৃশ্য দেখার পাশাপাশি অনুভব করার লোভ সামলাতে পারবেন না অনেকেই। তাই ইতিহাস গায়ে মেখে সিদ্রাপং ঘুরতে মন চাইবে পর্যটকদের। উত্তরের পর্যটন বিশেষজ্ঞ সম্রাট সান্যাল আশাবাদী সিদ্রাপং নিয়ে। তিনি বলেন, “ওই এলাকাটি আপাতত ট্রেকিং প্রিয় মানুষের কাছে পছন্দের। তবে বেশিরভাগ মানুষই শারীরিক কারণে ট্রেকিং করতে পারেন না। তাই যান চলার মতো সহজ পথ তৈরি হলে তাতে এলাকার গুরুত্ব কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। ফলে, এলাকার পর্যটন ব্যবসার উন্নতি হওয়া সময়ের অপেক্ষা।’’  বিশেষজ্ঞ রাজ বসু মনে করেন, সিদ্রাপং আসলে পর্যটন কেন্দ্রের রাজা। দার্জিলিং, কালিম্পং, গ্যাংটক বা কার্শিয়াং, মিরিক থেকে এই ধরণের প্রত্যন্ত জনপদের একটা আলাদা মাধুর্য ও আকর্ষণ রয়েছে। ইদানীং মানুষের মধ্যে এই ধরণের অফবিট স্পটে ভ্রমণের আগ্রহও বেড়েছে। ফলে এটি অত্যন্ত সময় উপযোগী পদক্ষেপ৷

The post পাহাড়ে পর্যটনের নয়া ঠিকানার সন্ধান, দুর্গম পথে যোগাযোগ বাড়াতে উদ্যোগী জিটিএ appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement